আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়ায় থানা যুবলীগের উদ্দোগে ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং শোকাবহ আগস্ট পালন করেন। ২১/০৮/২০২০ রোজ শুক্রবার বিকালে এলাহি কমিউনিটি সেন্টার বাইপাইল আশুলিয়ায়।
ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার, আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল হোসেন ভূঁইয়া এবং আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মন্ডলের আহবানে, আশুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের ১ নং যুগ্ন-আহবায়ক রাসেল মাদবর উক্ত অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য এক বিশাল শোক শোভাযাত্রা নিয়ে সভাস্থলে হাজির হন।
এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
আজ ২১ শে আগস্ট ইতিহাসের সেই ঘৃণ্যতম দিন, সেদিন যারা নরঘাতকদের গ্রেনেডের আঘাতে প্রান হাড়িয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি আমি রাসেল মাদবর, ১ নং যুগ্ন-আহবায়ক, আশুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর গ্রেনেড হামালা চালানো হয়।
এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তত্কালীন বিরোধী দলের নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
আহত হন শেখ হাসিনাসহ ৫ শতাধিক মানুষ। বুধবার (২১ আগস্ট) সেই ভয়াল ও রক্তাক্ত গ্রেনেড হামলার দেড় দশক হতে চলেছে।
বক্তৃতা শেষে ৫টা ২২ মিনিট, শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই অর্তকিতে গ্রেনেড বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকা।
শেখ হাসিনা সেই হামলা থেকে আহত হয়ে বেঁচে ফিরলেও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে বের হওয়ার পথেই শেখ হাসিনার বুলেট প্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতেও ঘাতকরা অবিরাম গুলিবর্ষণ করে।
আমি আওয়ামী যুবলীগের একজন কনিষ্ঠতম কর্মী হয়ে সেই হামলার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকারের প্রতি জোড় আহ্বান জানাচ্ছি।