ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ ত্রিশালে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন হাসিনা বেগম, তার বোন নাজমা খাতুন, ছেলে হাসিবুল, শাশুড়ি জান্নাতি বেগম ও প্রতিবেশী বিল্লাল। পথে ভালুকা উপজেলায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় ঢাকাগামী ইমাম পরিবহণের একটি যাত্রীবাহি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-০৭৩৩) সাথে ময়মনসিংহ গামী প্রাইভেটকারের (ঢাকামেট্রো-খ-১৫-০১৫৯) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারের চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনই একই পরিবারের। আহত হয় বাসের ১৫ যাত্রী। শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ভালুকা ডিগ্রি কলেজের সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আল নোমান জানান। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানান গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে মনির হোসেন প্রাইভেটকারে করে ত্রিশালের বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন হাসিনা বেগম, তার বোন, ছেলে, শ্বাশুড়ি ও এক প্রতিবেশী। পথে ভালুকা উপজেলা সদরে প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নেয়ার সময় ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের সবাই মারা যায়। আহত হয় বাসের যাত্রী–নিহত প্রাইভেটকারের যাত্রীর পরিচয় মিলেছে । নিতরা হলেন- গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার রদ্দৌপুর গ্রামের আ. করিমের স্ত্রী হাসিনা আক্তার (৩০), হাসিনার শিশু ছেলে হাসিবুল (৪), মৃত আ. মান্নানের স্ত্রী জান্নাতী বেগম (৬০), হযরত আলীর মেয়ে নাজমা বেগম (২৬), ত্রিশাল উপজেলার ধরিরাম পুরের আ. সালামের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৯) ও ড্রাইভার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩০)।
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মী ও পুলিশ প্রাইভেটকারটির বিভিন্ন অংশ কেটে একঘন্টা চেষ্টা করে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। উদ্ধার কাজ করার কারনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কের এক পাশে প্রায় ২ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী আসিফ আলী শেখ জানান, ‘ইমাম পরিবহনের বাসটি অনেক দ্রুত গতিতে আসতে ছিলো, প্রাইভেটকার ইউটার্ণ নেওয়ার সময় বাসের সামনে দিয়ে ভিতরে ডুকে যায়। এ ঘটনাতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হয়। ’ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাইভেটকারের ছয় যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে লাশ হস্থান্তর করি। আহত পনের জনকে ভালুকা সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ তৈমুর আলী জানান, ‘নিহতদের লাশ ভালুকা ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। ঘাতক বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।’
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, ‘ইমাম পরিবহনের একটি বাসের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। বাসের চালক পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply