মো:ফিরোজ,(বাউফল) পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল ও দশমিনা উপজেলার সিমান্তবর্তী বগীখালের ওপর নির্মিত সেতুটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কার কিংবা পূণঃ নির্মানের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দিয়ে দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী গ্রামের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারনের যোগাযোগের অন্যতম ব্যবস্থা।
সূত্রে জানা গেছে, বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের বগী গ্রামের ও দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সিমান্তবর্তী বগী খালের উপড় নির্মাণ করা হয়েছে লোহার এ্যাংগেল ও সিমেন্টের স্লাব দিয়ে তৈরী সেতুটি। প্রায় ২৭ বছর আগে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। এরপর থেকে সেতুটির কোন প্রকার সংস্কার না করার কারনে সেতুটি এখন মৃত্যু ফাঁেদ পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, বাউফল-দশমিনা উপজেলার সিমান্তবর্তী সংযোগ সেতুটি লোহার তৈরী এ্যাঙ্গেল, পিলারগুলো মরিচা ধরে বেকে গেছে। স্লাব গুলোর অধিকাংশ্ই নেই। স্থানীয় লোকজন কাঠের তক্তা দিয়ে সেতুর উপড় পাটাতন বানিয়ে কোন রকম যাতায়াত করেন। সেতুটির অবস্থা এমন পর্যায়ে রয়েছে যে কোন সময় ঘটতে পারে প্রান হানির মতন এক বড় কোন দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেতুটির দুই পাশের দুই গ্রামে রয়েছে বাউফল ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল কসবা রাবেয়া বশরি দাখিল মাদ্রাসা, দশমিনা মরিয়ম মেমেরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়, আকরাম খান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাউফল ইসলামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বাউফল ইসলামিয়া নাইট স্কুল নামের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের প্রায় শিক্ষার্থী নির্ভরশীল বাউফল উপজেলার বগী গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর। এ ছাড়াও রয়েছে বগী বাজার নামের স্থানীয় হাট। এ বাজারের উপড় নির্ভরশীল দুই গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। এ সেতুাটর উপড় দিয়েই শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রামের জনসাধারনের নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়।
ওই সেতুটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়ত করে কাওসার মাহমুদ নামের এক ব্যাক্তি জানান, সেতুটির এমনই করুন অবস্থা যে প্রাণের ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়ত করতে হয়। হুমায়ুন কবীর নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সেই ছোট সময় থেকে এই সেতুটি দিয়ে আসা যাওয়া করি। সেতুটির সংস্কার কিংবা পূণ নির্মানের কোন উদ্দ্যোগ দেখছি না। দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রাম থেকে নিয়মিত পাঠদান করতে আসেন বাউফল ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জান্নাতুল যুথি, ফারজানা আক্তার, আল নাইম নামের অনেক শিক্ষার্থী। তারা এ প্রতিনিধিকে জানান , ওই সেতুটি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন। বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগেই সেতুটি নির্মাণের দাবী জানান তারা।
বাউফল ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুষার কানিÍ ঘোষ জানান, এ বিদ্যালয়সহ এ গ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের। ওই সেতুটি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। দ্রুত সময়রে মধ্যে সেতুটি নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন তিনি। বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের আব্বাস উদ্দিন নামের এক কর্মকর্তা জানান, সেতুটি দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের নিয়ন্ত্রাধিন। দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলি কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেন, সেতুটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মানের সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।