ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চীনের জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমরা। তাদের জোর করে আটকে ঐতিহ্যবাহী চীনা হারবাল ওষুধ খেতে বাধ্য করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তাদেরকে দালানের ভেতরে দেয়ালের সঙ্গে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অংশ হিসেবে কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের ঘরের অভ্যন্তরে থাকার নির্দেশ জারি ছিল। পোস্ট অনলাইনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির রাজধানি উরুমকিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধকালীন অবস্থায় ছিল এর বাসিন্দারা। বিশেষ করে জুলাই মাসে পুরো চীন জুড়ে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছিল।
শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা লকডাউনে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা ও কোয়ারেন্টিনে রাখার অভিযোগ এনে ব্যাপক সমালোচনা করেছে সরকারের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার পরও তাদের ওপর এমন নির্যাতন করা হয়েছে। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এই শহরটিতে ৫৩১টির বেশি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নথিভুক্ত ছিল, পর পর আট দিনে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
ইন্টরনেট ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করছে, ওই এলাকার বাসিন্দার ঘরের বাইরে বের হতে চাইলে শিকল দিয়ে তাদের ঘরের দেয়ালের সঙ্গে বেঁধে রাখা হচ্ছে। একজন বলছেন, দুই মাস ধরে তাদের কোয়েরেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় চীনের হারবাল উপায়ে তৈরি ওষুধ খেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
উরুমকিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করা এক ব্যক্তির আত্মীয় গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, তাদের আত্মীয়র পরিবারকে প্রতিদিন ওষুধ খেতে দেয়া হচ্ছিল। তবে সেগুলো খেতে জোর করা হয়নি। চীনা কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার অজুহাতে অনেক উইঘুর মুসলিমকে ডিটেনশন সেন্টারে আটক রেখেছে।