ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপ নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে দুই দশক ধরে বিরোধ চলে আসছে ভিয়েতনামের সঙ্গে। সম্প্রতি ওই দ্বীপে চীনা অবস্থান ও দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়ায় বেইজিংকে সীমা লঙ্ঘন করতে বারণ করেছে ভিয়েতনাম।
বুধবার বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিক মহড়া নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটি বলছে, চীনের এমন তৎপরতা আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও শান্তির পরিপন্থী। চীনা বাহিনী ২৪ আগস্ট থেকে সামরিক মহড়া শুরু করে যা চলতি মাসের ২৯ তারিখে শেষ হবে।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র লি থি থা হাং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চীনের পুনরায় সামরিক মহড়া (প্যারাসেল দ্বীপ) ভিয়েতনামের সার্বভৌমত্ব ও আশিয়ানের (অ্যাশোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস) দক্ষিণ চীন সাগরের কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে আলোচনার বিষয়টি জটিল করে ফেলছে।
ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম ভিয়েতনাম নিউজের বরাত দিয়ে রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, চীনকে প্যারাসেল দ্বীপ নিয়ে ভিয়েতনামের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাতে, সামরিক মহড়া বাতিল ও অনুরূপ সীমা লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
তিনি দাবি করেন, ১৯৭৪ সালে প্যারাসেল দ্বীপটি জোর করে দখল করে নেয় বেইজিং। প্যারাসেল দ্বীপটি আশিয়ান সদস্যরা সবার অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। তবে ভিয়েতনাম বলছে এটি তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি বলেন, দুটি দ্বীপের ওপর সার্বভৌমত্ব প্রমাণ করার জন্য দেশে পর্যাপ্ত আইনগত ভিত্তি ও ঐতিহাসিক প্রমাণ রয়েছে। দুই দশক ধরে দক্ষিণ চীন সাগরে থাকা দ্বীপদুটি দাবি করে আসছে চীন, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনসহ অন্য দেশগুলো।