ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পদ্মাসেতুতে স্প্যান বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মে) সকাল ১০টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওনা করে ৩০তম স্প্যানটি। তিন ঘন্টার মধ্যেই নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি।
আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে শনিবার (৩০ মে) জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো হবে ‘৫বি’ স্প্যানটি। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য আর তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে স্থায়ীভাবে বসিয়ে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৪ হাজার ৫০০ মিটার। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হবে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ৩০ ও ৩১তম স্প্যান দুইটি বর্ষা মৌসুমের আগে বসানো সম্ভব হলে জাজিরা প্রান্তের সব স্প্যান বসানো শেষ হবে।
পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, অস্বাভাবিক ও দুর্যোগকালীন সময়ে প্রকল্পের পরামর্শক, ঠিকাদার, দেশি বিদেশি প্রকৌশলী, নির্মাণ শ্রমিক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শনিবার ৩০তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের উপর স্থাপন করা হবে।
প্রকৌশলীরা জানান, বর্তমানে পদ্মাসেতুতে ২৯টি স্প্যান বসিয়ে দৃশ্যমান আছে ৪ হাজার ৩৫০ মিটার। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের এবং ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।