1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
দুই মাসে ৩২ টাকার শেয়ার ২০০ টাকায়
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন

দুই মাসে ৩২ টাকার শেয়ার ২০০ টাকায়

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০, ১২.১৬ পিএম
  • ২৬১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে সরকারি কোম্পানি ঝিলবাংলা সুগারের শেয়ারের দামের অস্বাভাবিক উত্থান যেন থামছেই না। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম তিন গুণ বেড়েছে। আর দুই মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ছয় গুণ।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত ৯ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল প্রায় ৩২ টাকা। আর সেই শেয়ারের দাম দুই মাস না পেরোতেই হয়ে গেছে ২০০ টাকা। আবার এক মাস আগেও এটির শেয়ারের দাম ছিল ৬৪ টাকা। সেখান থেকে মাত্র ১৯ কার্যদিবসে বেড়েছে ১৩৬ টাকার বেশি।

বাজে কোম্পানি হিসেবে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দামের এ উত্থানকে খুবই অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, কারসাজি ছাড়া বাজে মানের এ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য এভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। এই অবস্থায় কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখা দরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটি ঢাকার বাজারে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। মাত্র ৫ কার্যদিবসে এটির শেয়ারের দাম ৩৩ শতাংশের বেশি। জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের টানা মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়। অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ রকম অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ার মতো অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য তাদের হাতে নেই।

‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত ঝিলবাংলা সুগার মিলের শেয়ারের এ মূল্যবৃদ্ধিকে খুবই অস্বাভাবিক মনে করছেন বাজার–সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসা বলেন, সাধারণভাবে বলাই যায় গুজব ছড়িয়ে এক বা একাধিক কারসাজিকারক মিলে এ কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটাচ্ছে। অন্যথায় এ কোম্পানির দাম দুই মাসে ৩২ টাকা থেকে ২০০ টাকা হয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। সাধারণত কারসাজিকারকেরা এসব কোম্পানির দাম বাড়াতে নানা ধরনের গুজব ছড়ায়। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দেখেন দাম শুধু বাড়ছেই, তখন তাঁরা ওই শেয়ার কিনতে আগ্রহী হন। বাজে কোম্পানি জানার পরও যেসব বিনিয়োগকারী এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁদের জন্য কোনো সহমর্মিতা কারও থাকা উচিত নয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান ঝিলবাংলা সুগার মিলস। ১৯৮৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৬ কোটি টাকা। স্বল্প মূলধনি কোম্পানি হওয়ায় এটির শেয়ার নিয়ে সহজে কারসাজি করা যায় বলে মনে করছেন বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কোম্পানিটি সর্বশেষ কবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই তথ্যও নেই ডিএসইর ওয়েবসাইটে। সরকারি কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও এটি শেয়ারবাজারে হালনাগাদ কোনো তথ্য সরবরাহ করে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews