ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন টেকসই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। সেই সঙ্গে এটি নিরাপদও। এই ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করা তার এক মেয়ে সুস্থও আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দেশটির গণমাধ্যম তাস এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমরা প্রাণী ও স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর করোনার টিকার প্রাক-ক্লিনিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছি। এই ভ্যাকসিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে সেটা আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের কাছে একেবারেই স্পষ্ট। এর মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা আমার মেয়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। এটি ক্ষতিকর নয়। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার মেয়ে ভালো বোধ করছে।
পুতিন স্পষ্ট করে জানান, তার মেয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজের পেশাদারিত্বে জায়গা থেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তিনি।
পুতিন আরো জানান, টিকা গ্রহণের প্রথম দিন মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠেছিল। প্রথম দফার ২১ দিন পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন তিনি। সে সময়ও তার দেহের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
পুতিন বলেন, আমি এর মধ্যেই তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। সে সুস্থ আছে। সবকিছু ভালোই চলছে।
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে যখন দিশেহারা গোটা বিশ্ব তখন টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় রাশিয়া। অনেকেই তড়িঘড়ি তৈরি এই টিকা নিয়ে নানা মতামত ব্যক্ত করলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুতিন।
স্পুটনিক ভি (স্পুটনিক ৫) হলো বিশ্বে প্রথম করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা। গত ১১ আগস্ট এই টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর তার এক মেয়ের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগের কথাও জানান তিনি।
বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক তৈরি করেছিল পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই ঘটনাকে স্মরণে রেখে মারণ জীবাণু করোনার প্রতিরোধক টিকার নাম রাখা হয়েছে স্পুৎনিক।