আগামী সপ্তাহ ২ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এর সকল স্কুল খুলছে স্কুল শিক্ষার্থীরা প্রায় নতুন এক ক্লাস রুমে পা রাখবে
যে স্কুল তারা রেখে গিয়েছিলো, সেটা আর ফিরে পাবেনা থার্মোমিটারে শরীরের তাপ মাপা থেকে শুরু করে মার্কিতে ক্লাসরুম – সব ক্ষেত্রেই নিরাপত্তামূলক নানান ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে
শিক্ষার্থী শিক্ষক ও তাদের পরিবারগুলোর সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে এসব পদক্ষেপ। এরই মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সরকার শেষ মুহুর্তে ইউটার্ন করলেও টোরি রাজনীতিকরা তা পছন্দ করছেন না মহামারীর কারণে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্কুলগুলো পুরোপুরি খুলে দিতে সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বদ্ধপরিকর ছিলেন। স্কুল সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নগুলোর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ উৎকন্ঠা জানিয়ে পুর্ণাঙ্গ শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিরোধিতা করলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
স্কুলে গেলে শিশুরা করোনাভাইরাসে সংক্রমণের শিকার হবে বলে যেমনটি ধারনা করা হচ্ছিল, বাস্তবিক অর্থে সে ঝুঁকি বরঞ্চ কম। গবেষণার বরাত দিয়ে এমন দাবি করেছে ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনা মহামারীতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের পিছু হটার সর্বশেষ নজির হচ্ছে স্কুল মাস্ক পরা নিয়ে। প্রধান মন্ত্রী বরিস জনসন একদম শেষ মূহুর্তে এসে বলেছেন, সেকেন্ডারি স্কুলের করিডোরে শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরতে হবে। এর আগে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এ ব্যাপারে তাদের অনীহার কথা জানালে স্কুলগুলো সরকারের গাইডলাইন অনুসরণ না করার আশংকা তৈরী হলে সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলোর সেকেন্ডারি স্কুলগুলোতে মাস্ক পরার বিধানে পরিবর্তন আনার ঘোষনা দেন প্রধান মন্ত্রী।
এদিকে, ইংল্যান্ডের প্রতিটি স্কুলে মাত্র ১০টি করে কোভিড টেস্টিং কিট দেয়া হচ্ছে বলে সরকার তথ্য প্রকাশ করেছে। উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও স্টাফদের আশ্বস্ত করার সরকারী উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই কিটগুলো দেয়া হচ্ছে। কিন্তু স্কুল প্রতি মাত্র ১০টি কিট প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এছাড়া স্কুলগুলোকে ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এর পক্ষ থেকে একবারই বিনামূল্যে ‘খুবই স্বল্প পরিমাণে’ পিপিই যেমন ফেস মাস্ক, এপ্রোন, গ্লাভস, ভিজর ও হ্যান্ড সেনেটাইজার দেয়া হচ্ছে।
ব্রিটেনের চার জন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, স্কুলে করোনার সংক্রমণ আসিার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্যদিকে স্কুল থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য দূরে থাকা শিশুদের মস্তিষ্ক এবং বেড়ে ওঠায় আরো বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে । বৃটেনের জাতীয় সমীক্ষা ব্যুরো বলেছে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ইংল্যান্ড বকেং ওয়েলসেস কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ১৯ বছর বয়সের চেয়ে কম বয়সী ১০ জন প্রাণ হারিয়েছে। পক্ষান্তরে ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ৮৬ হাজার ৭২৫ জন মারা গেছেন।
এদিকে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জুনে ইংল্যান্ডে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলে অংশ নেয়া ১০ লাখ শিশুর মধ্যে মাত্র ৭০ জন শিশু এবং ১২৮ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। গবেষণায় দেখা গেছে, স্কুলের চেয়ে ঘরেই শিশুদের করোনা সংক্রমণের অনেক বেশি।