নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আসাদুল ইসলাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর। আজ শুক্রবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসাদুলের বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরে।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ ফেরদৌস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত সে-ই করেছে। তাঁকে রংপুরে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, তারা দুজন ইউএনওর বাসায় ঢোকে। সিসিটিভিতে তাদেরই দেখা গেছে।
ওসি জানান, জড়িতদের একজন মাদকাসক্ত। দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘোড়াঘাট থানায় তিনি এই মামলা করেন।
গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মই বেয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। এ সময় ইউএনওর চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা তাঁর বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও আঘাতে জখম করে। পরে কোয়ার্টারের অন্য বাসিন্দারা তাদের চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়।
ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা এখন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, নওগাঁ থেকে মাঝেমধ্যে মেয়ে ওয়াহিদা খানমের বাসায় বেড়াতে যেতেন তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী শেখ। ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত আছেন।
শুক্রবার ভোরে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আরশাদুল ও জাহাঙ্গীর।