নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টাঙ্গাইলে ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী শান্তা আক্তার (৯) কে ধর্ষন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
গত (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। রাতেই এ ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতো ভাই রফিক বলেন, গতকাল বিকেলে শান্তা বাড়ির পাশের আঁখ ক্ষেতে আঁখ আনতে যায়। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে সন্ধ্যায় বাড়ির লোকজনের ডাক-চিৎকারে আমি ওদের বাড়িতে যাই। পরে তার নিখোজের খবর শুনে আমিও নিহতের পরিবারের লোকজনদের সাথে আখ ক্ষেতে খুজতে বের হই। সেখানে কিছু আঁখ ও শান্তার ব্যবহার করা মাথার ব্যান্ড পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর আরো খোজাখুজির পর পাশের কচু ক্ষেতে কচু পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্হায় শান্তার লাশ পাওয়া যায়। এসময় ওর শরীরের অনেক যায়গায় জখমের চিহ্ন ও গলায় ওরনা পেচানো ছিলো।
নিহতের বাবা সাদেক হোসেন বিলাপ করে বলেন,আমার তো কারো সাথে কোন শক্রতা নেই। তাহলে কেন আমার মেয়ের সাথে এমন হলো। যারা আমার মেয়ের সাথে এ ধরনের কাজ করছে তাদের ফাঁসি চাই।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পরই বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া ঘটনার দিন রাতেই জিঞ্জাসাবাদের জন্য একই এলাকার ৪জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশাকরি খুব দ্রুত জড়িত অপরাধীদের সনাক্ত করতে পারবো।