1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
ময়লা অপসারণ নিয়ে ৪৭ নং ওয়ার্ডে দুই গ্রুপের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

ময়লা অপসারণ নিয়ে ৪৭ নং ওয়ার্ডে দুই গ্রুপের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ জুন, ২০২০, ৭.৫২ পিএম
  • ২৪৬ বার পঠিত

দক্ষিনখান প্রতিনিধি:  রাজধানীর দক্ষিণখান ৪৭নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন ফায়দাবাদ এলাকায় বাসাবাড়ির ময়লা, আবর্জনা পরিস্কার অপসারণ নিয়ে উক্ত এলাকার দুটি সক্রিয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়- বিগত ৮/৯ বছর যাবত এলাকায় ময়লা, আবর্জনা পরিস্কারের দায়িত্ব নেয় এলাকার যুবক নেতা তরিকুল ইসলাম পপলু। কিন্তু নতুন সিটিকর্পোরেশন গঠনের পর দ্বিতীয় বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া দায়িত্ব দেন এলাকার কিছু উদ্যমী, বেকার যুবক সবুজ, মুকুল, বাবু ও শেখ হাসেম নামের কয়েকজনের কাছে।

এতেই ক্ষিপ্ত হয় পপলু ও তার দলবল। পপলু গং’রা অনুমান করে নেয় একই এলাকার দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবেদ আলী পরামর্শে এটা করা হয়। কারণবর্তমান কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া ও আবেদ আলীর সুসম্পর্ক বিরাজমান।

ময়লা নিয়ে এই বিভাজনের কারণে পপলু ও আবেদ আলীর পরিবারের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনার ফল হিসেবে একে অপরেরবিরূদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কুৎসা রটাতে থাকে। জানা যায়, একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ময়লা অপসারণ নিয়ে প্রতিবেদন হওয়ার পর দুই গ্রুপের মধ্যে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করে আসছে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি তরিকুল ইসলাম পপলু এতদিন ময়লা নিষ্কাশনের নামে প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার কাছে কোন বৈধ কাগজ পত্র নাই। পপলু অন্য আরেকজনকে ময়লানিষ্কাশনের দায়িত্ব বিক্রি করে অবৈধ ভাবে টাকা কামাতেন। তাই তিনি সিটি করপোরেশনের অনুমতিক্রমে এলাকার বেকার যুবকদের নতুন করে দায়িত্ব দেন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি আরো বলেন- আমি শ্রমিকলীগের একজন ছোট নেতা। নিজের প্রয়োজনে কখনো কিছুই করিনি। মানুষ ও মানবতার সেবা করাই আমার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।।

পপলু জানায়, আমি এই বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলর মহোদয়ের কাছে একাধিকবার গিয়েছি কিন্তু অফিস থেকে তেমন কোন সাড়া পায়নি। উনি আমার মুরুব্বী মানুষ, কাউন্সিলরের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব। তবে আমার বিরূদ্ধে যে অপপ্রচার করা হয়েছে তার একটিও যদি প্রমাণ না হয়, আমি আইনের আশ্রয় নেব। আগে থেকে যেহেতু ময়লার ব্যবসা আমি করেছি তাই এখনো এই দায়িত্ব পাওয়ার অগ্রাধিকার আমারই হওয়ার কথা।

আবেদ আলী বলেন- এতদিন রাজনীতি করেছি,সত্য রাজনীতি পছন্দ করি, কখনো কারো ক্ষতি করিনি। মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেটা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য-প্রণোদিত, আমি এই ময়লা অপসারণ ব্যবসার সাথে জড়িত নয়।

বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় , এই দুই গ্রুপ যেকোন সময় বড় কোন সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উপর মহলের সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews