1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
দেশজুড়ে নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সরকার
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নড়াইল মুক্ত দিবস,শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে  শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা  সাবেক এমপি রশীদুজ্জামানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন করেছেন আদালত শহীদ আবু সায়েদের সনদ তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সাভারে পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যামামলার আসামী রনি গ্রেপ্তার কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর

দেশজুড়ে নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সরকার

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯.৪৩ পিএম
  • ১৮৪ বার পঠিত

আসমা আহমেদ: বর্তমান সরকার দেশজুড়ে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে জোরেশোরে কার্যক্রম চালাচ্ছে। কারণ দেশের দশের প্রতিটি এলাকায় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। কোন মানুষ যাতে অনিরাপদ পানি পান না করে সেজন্য সরকার কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তার মধ্যে রয়েছে ‘৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প’, ৫৪ জেলায় আর্সেনিক মুক্ত পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্প, সারাদেশে পল্লী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প, গ্রামাঞ্চলে পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে ৯২৫টি পুকুর, দীঘি ও জলাশয় খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তার বাইরেও আরো কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ওসব প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।তবে করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা রয়েছে। সেজন্য জেলাপর্যায়ে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে সরবরাহ করা পানির গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। সেজন্য গৃহীত প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরীক্ষা করে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় পানি পরীক্ষাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পি পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পায় এবং ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ কয়েকটি জেলায় প্রাথমিকভাবে শুরু করা হয়েছে হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াইশ’ কোটি টাকা। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৫২ জেলার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাবে।
সূত্র জানায়, সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। সরকারের লক্ষ্য অর্জনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর পল্লী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে ওই প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলে পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ করার জন্য সরকার সারাদেশে ৯২৫টি পুকুর, দীঘি ও জলাশয় খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ শতকরা ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গ্রামের মানুষ ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করতে পারবে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাওয়ার কারণে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি সরকারে নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল। এ কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, জেলা সদরের পৌরসভাগুলোতে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সরকার গৃহীত ৩৭ জেলা সদর পৌরসভায় নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের প্রকল্প কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। ইতিমধ্যে দু’বার ওই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ৮শ’ ৯৯ কোটি টাকার ওই প্রকল্প দু’দফা সময় বাড়নোর পর আগামী বছর জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বিগত ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারিতে পৌরসভাগুলোতে শতভাগ নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প’ হাতে নেয়া হয়। ২০১৭ সালের জুনে মাসে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারিগরি কিছু সমস্যার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। পরে করোনার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক দফা বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সারাদেশের ৫৪ জেলায় আর্সেনিক মুক্ত পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ আরো আগেই শুরু হয়েছে। কিন্ত করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। এখন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) নিয়োগ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এনজিও নিয়োগ হলে তারা সারাদেশের টিউবওয়েলগুলো পরীক্ষা করবে। কোন টিউবওয়েলে আর্সেনিক আছে সেটায় লাল চিহ্ন দেবে। আর যে সব টিউবওয়েলে আর্সেনিক নেই সেগুলোতে সবুজ চিহ্ন দিয়ে রিপোর্ট দিলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলগুলো প্রতিস্থাপন করবে। আর্সেনিকযুক্ত নলকূপ (টিউবওয়েল) চিহ্নিত হলেই কাজের অগ্রগতি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির জন্য সরকার দেশের ৫২ জেলায় পানির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য ‘পানি পরীক্ষাগার’ স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আড়াইশ’ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত হবে।
এদিকে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের পরিচালক নূর আহমেদ জানান, ‘৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প’ নামে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কাজের ৮৫ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮টি পৌরসভায় প্রকল্পের কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৭ জেলায় ২৪টি খাবার পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে নদী থেকে পানি নিয়ে শোধন করে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। ৬টি পৌরসভার কাজ ৮০ ভাগের বেশি কাজ শেষের পথে। ৫টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চারটি ওভারহেড ট্যাঙ্কের কাজ প্রায় শেষ। ৮ হাজার ৫শ’ হ্যান্ড টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। ৩৫০টি গভীর নলকূপ বা পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ৩০টির মতো গভীর নলকূপ স্থাপন কাজ প্রায় শেষ। এগুলো বিদ্যুৎ সংযোগসহ কিছু কারিগরি কাজ বাকি রয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। প্রকল্পের আওতাধীন ৩৭টি জেলা হচ্ছেÑ ঢাকা বিভাগে ফরিদপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও জামালপুর। চট্টগ্রাম বিভাগে ফেনী, কুমিল্লা ও চাঁদপুর। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ। রংপুর বিভাগে রংপুর, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট। রাজশাহী বিভাগে পাবনা, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি, ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালী। খুলনা বিভাগের মাগুরা, নড়াইল, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা। ওসব জেলার সদর পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, করোনাসহ নানা কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে। আশা করা যায় এবার নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews