ডেস্ক: দেশে আটকেপড়া সৌদি আরবগামী প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের ভিসার (ইকামা) মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে অনেকটাই শঙ্কিত। ইতোমধ্যে কারো কারো ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কারো মেয়াদ এক সপ্তাহ পর শেষ হতে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের পর যদি যেতে পারেন তাহলে ভিসার মেয়াদ আদৌ বাড়ানো হবে কি, হবে না- তা নিয়ে অনেকেই আছেন ভয় আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে।
এরই মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সৌদি আরবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে সৌদি সরকার ফ্লাইট শিডিউল না দেয়ার কথা জানিয়েছে। যার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদিগামী শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েও স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। তবে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল করবে বলে সৌদিগামী যাত্রী ও এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়, সৌদি আরবগামী যাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে সে দেশের বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছিল। সে অনুযায়ী বিমান ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদান করেনি। সৌদি সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করবে। সৌদি গমনেচ্ছু সকল যাত্রীদেরকে যাত্রার তারিখ, সময় যথসময়ে অবহিত করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
গতকাল ঢাকায় আটকাপড়া চাঁদপুরের বাসিন্দা একজন যাত্রী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আমি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে ছুটিতে দেশে এসেছিলাম। করোনায় আটকা পড়েছি। এখন আমার ছুটি এবং ইকামার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। উপায় না পেয়ে ২০ তারিখ সকাল সাড়ে ১০টার সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের টিকিট কিনলাম। আমার গন্তব্য দাম্মাম হলেও টিকেট নিয়েছি জেদ্দা পর্যন্ত। ভিসার মেয়াদ আছে ২০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব সময় রাত ১২টা পর্যন্ত। ওইদিনের ফ্লাইট ফুল আছে। বিমানকে শিডিউল দেয়া হয়নি এটা জানলাম। এখন ভয়ে ভয়ে আছি যেতে পারব কি না। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু আমার নয়, আমার মতো অনেকের ভিসার মেয়াদই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটি নিয়ে আমাদের সরকারের এখনই সৌদি আরব সরকারের সাথে কথা বলা দরকার।
Leave a Reply