চাষাবাদের শুরুতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় পাটগাছ বেশি বড় ও পুষ্ট হয়নি। সঙ্গতকারণে ফলন ভালো হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। তবে দাম ভালো পাওয়ার আশা তাদের।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর এক হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ বেশি হয়েছে। এক্ষেত্রে ২১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে।
ইতোমধ্যে নড়াইলের বিভিন্ন অঞ্চলে পাটকাটা, জাগ দেয়া, আঁশ ছড়ানো, ধোঁয়াসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া চলছে। এরই ধারাবাহিতকায় বাজারে নতুন পাট বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রতিমণ নতুন পাট মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২১০০ থেকে ২৩০০টাকায়।
এই দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি হলেও শেষ পর্যন্ত পাটের দরপতন নিয়ে শংকার মধ্যে আছেন তারা। কৃষকদের দাবি শেষ পর্যন্ত যেন পাটের দাম ঠিক থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তাসহ কৃষকেরা জানান, এ বছর বোরো ধানে মণপ্রতি ৩০০ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা বেশি পেয়ে কৃষকেরা পাটচাষে উবুদ্ধ হন।
ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে।
নড়াইলে পাটের চাষাবাদ বেশি তবে চারা অবস্থায় আগাম বর্ষা হওয়ায় পাট বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
এ কারণে ফলন খারাপ হয়েছে। তবুও কৃষকেরা দাম ভালো পাবেন, এই আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
অনুজ কুমার বিশ্বাস, উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নড়াইল।