ডেস্ক: এক বছর আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা বন্ধ হলেও, নেশার টানে সেখানে জুয়াড়িদের আনা-গোনা আবারও বেড়েছে। খেলার সুযোগ না থাকায় এবার অনলাইনে ক্যাসিনো খেলায় ঝুঁকছেন তারা।
তবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় অনলাইন ক্যাসিনো বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেশ কয়েকটি অপরাধীচক্র বিদেশ থেকে এই খেলা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এই খেলাকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। সংস্থাটি বলছে, দ্রুত সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে।
সুনসান নীরবতায় স্তব্ধ এক সময়ে ক্যাসিনো জুয়াড়িদের আনাগোনায় মুখর রাজধানীর মতিঝিলে ক্রীড়া ক্লাবগুলো। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে একে একে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্লাবগুলোতে ঝুলছে তালা।
এক বছর আগে বন্ধ হলেও নেশার টানে মাঝে মধ্যেই জুয়াড়িদের আনা গোনা লক্ষ্য করা যায় বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী বলেন, জুয়াড়িরা আসে মাঝে মাঝে, তবে খুবই কম। দূর থেকে দেখে খোলা আছে কিনা। দেখে আবার চলে যায়।
ক্লাবে খেলা বন্ধ হওয়ায়, নেশায় বুধ হওয়া জুয়াড়িরা এবার ঝুঁকছেন অনলাইন ক্যাসিনোর দিকে। পাশাপাশি উচ্চবিত্ত তরুণ-তরুণীদের ক্যাসিনোতে আসক্তির বিষয়টিও ভাবিয়ে তুলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
র্যাবের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম শাখা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, বর্তমানে আমরা যে ধরনের ছোট খাট অভিযোগ পাই, সেটা হলো অনলাইন ভিত্তিক জুয়া নিয়ে। এগুলো মূলত বিদেশি ডোমেইন থেকে পরিচালনা করা হয়। এরকম বেশ কিছু বিষয় র্যাবের নজরে আসছে এবং সেই সব বিষয় নিয়ে র্যাব কাজ করছে।
অনলাইনে ক্যাসিনো বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারীদের তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল।