রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
উজানে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে আবার বেড়ে গেছে তিস্তা নদীর পানি।বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ দশমিক ৬০ মিটারের ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলে বুধবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বাড়তে থাকে।
বেলা ৩টার দিকে সেখানে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানায়।
এ বছর কয়েক দফা তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়। গত ১২ জুলাই রাতে ওই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠলে তিস্তা ব্যারাজ ও ফ্লাট বাইপাস এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে পাউবো।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন,“তিস্তার উজান ভারত অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার দুপুর থেকে বাড়তে থাকে তিস্তা নদীর পানি। যা সন্ধ্যা ৬টায় আরো বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো খুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পডিরষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, “তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় আমার ইউনিয়নের আটটি চরগ্রাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব গ্রামের পরিবারগুলো সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। নদীর পানি রাতে আরো বৃদ্ধি পেলে তাদের নিরাপদস্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।”
তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার নদী বেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিমছাতনাই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে।