1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া হাসপাতালের রোগীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশনায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে নড়াইল ডিবি কর্তৃক ৫০০(পাঁচশত) গ্রাম গাঁজাসহ ০১জন গ্রেফতার নড়াইল মুক্ত দিবস,শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে  শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা  সাবেক এমপি রশীদুজ্জামানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন করেছেন আদালত শহীদ আবু সায়েদের সনদ তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সাভারে পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যামামলার আসামী রনি গ্রেপ্তার কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া হাসপাতালের রোগীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১.০৭ পিএম
  • ২১৪ বার পঠিত
সাটুরিয়া প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জ 
সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা তরুণীকে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় মাজিদুল করিম ধর্ষণ করেছে বলে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত করে রিপোর্ট দিয়েছেন। সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ ধর্ষণের সততা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওয়ার্ড বয় মাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি প্রতিবেন জমা দিয়েছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জ্বর ও শারীরিক ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় নারী ওয়ার্ডে ভর্তি হয় এক কিশোরী (১৬)। সে ধীরে ধীরে অনেকটাই সুষ্ঠ হয়ে ওঠে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্ব ছিলেন ওই ওয়ার্ড বয় মাজিদুল। ওই রাতে হাসপাতালের শষ্যায় ঘুমিয়ে পরেন তরুণীর মা।
এ সময় তরুণী জেগে ছিল। এসময় মাজিদুল ওই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে হাসপাতালের নিচ তলায় ওই মেয়েকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পরলে তাকে বারান্দায় ফেলে তিনি পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষণ হলে রাতেই তরুণীকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে তরুণীর ভর্তি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ১৬ বছরের তরুণীকে হাসপাতালের পাঁচতলার নারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই তরুণীর শারীরিক সমস্যার স্পর্শকাতর স্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
এদিকে ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঘটনার তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাটুরিয়া হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিককে কমিটির প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ করেন বিষয়টি ধামা চাপা দেবার জন্য ধর্ষণ বিষয়টি নিয়ে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ওয়ার্ড বয় মাজিদুলকে বাঁচানোর জন্য ঘটনার ৯ দিন পর রবিবার ( ২০ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিতা মেয়ের সাথে বিয়ে করে।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মতিয়ার মিঞা বলেন, মেয়েটি বা তার পরিবার থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করে নি। তাই এ বিষয়ে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া সম্বভ হয় নি।
এদিকে ঘটনার কয়েক দিন পর মেয়েটির পিতা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট ধর্ষনের অভিযোগ করেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিউজ হওয়ার পর। ধর্ষক ও ধর্ষিতার সাথে ৬ লক্ষ টাকা মহরানা করে বিয়ের পর থেকেই মেয়ে ও পরিবারটি ধর্ষণের ঘটনাটি অস্বীকার করছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণীত হয়েছে ওয়ার্ড বয় মাজিদুল ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews