1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
কারা বেঁধেছিল যুবলীগ নেতার চোখ
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশনায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে নড়াইল ডিবি কর্তৃক ৫০০(পাঁচশত) গ্রাম গাঁজাসহ ০১জন গ্রেফতার নড়াইল মুক্ত দিবস,শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে  শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা  সাবেক এমপি রশীদুজ্জামানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন করেছেন আদালত শহীদ আবু সায়েদের সনদ তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সাভারে পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যামামলার আসামী রনি গ্রেপ্তার কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ

কারা বেঁধেছিল যুবলীগ নেতার চোখ

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০.০১ এএম
  • ২০১ বার পঠিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি :হাতে হাতকড়া, চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা। এভাবেই দেখা যায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাতকে। আর তার সামনে চেয়ারে বসা আহাদুজ্জামান নামে পুলিশের এক পরিদর্শক। তাদের কথোপকথনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামাল পাশাকে আহ্বায়ক করে মঙ্গলবার রাতে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম ও ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজী রবিউল ইসলাম।

ভিডিওটি যুবলীগ নেতা আরাফাত সোমবার রাতে ফেসবুকে আপলোড করেন। এতে দেখা গেছে, জিনসের প্যান্ট ও কোট পরা এক ব্যক্তির হাতে হাতকড়া। দুই চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা। তার সামনে চেয়ারে বসা এক ব্যক্তি বলছেন, ‘তোর কী হইছে? কে মারছে? আমি তো তোগের লোক না। তোগের লোক হলে থানায় থাকতে পারতাম। আমি এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক।’

আরাফাতের দাবি, চোখ বাঁধা ওই ব্যক্তি তিনি। আর চেয়ারে বসা ব্যক্তি পরিদর্শক আহাদুজ্জামান। আরাফাত জানান, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাউলিবেড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১০ ফেব্রুয়ারি জামিনে বের হন। তিনি বলেন, ‘হাতকড়া পরিয়ে গাড়ির মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য আমাকে মারধর করেন। পুখরিয়া এলাকায় আমাকে ডিবি পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তখন আমার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়- ‘তোকে ক্রসফায়ারে দেব। সকালের সূর্য তুই দেখতে পারবি না। আজই তোর শেষ রাত।’ পরে আমাকে চেয়ারে পিছমোড়া করে বাঁধা হয়। এরপর আমার দুই পায়ে বেতের লাঠি দিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট পেটানো হয়। ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার পেটানো হয়। পরে সেখানে আসেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ওসি আহাদুজ্জামান।’

সেই ঘটনার ভিডিও আপলোড করেছেন বলে আরাফাতের দাবি। তবে ভিডিওটি কে করেছেন বা কোথায় তিনি পেয়েছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি আরাফাত। জানা গেছে, আহাদুজ্জামান ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ছিলেন। পরে তাকে সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।

আহাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমি আরাফাতকে চোখ বাঁধা অবস্থায় পেয়েছিলাম। তাকে মারধর করা হয়েছে কিনা জানি না। এর আগে আরাফাত আমাকে বলেছিলেন, আমি নাকি এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক। এর উত্তরে আমি বলেছি, ‘নিক্সন চৌধুরীর লোক হলে তো আমি থানাতেই থাকতে পারতাম।’ এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাকে পরাজিত করেন। আরাফাত আরও বলেন, আমাকে নির্যাতন করে ভিডিও করেছে যেসব কমর্কর্তা আমি তাদের বিচার চাই। যাতে আওয়ামী লীগের আর কোনো নেতাকর্মী এভাবে নির্যাতনের শিকার না হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews