টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ধরলা নদীর পানি শুক্রবার দুপুরে বিপৎসীমার ৪৬ সেঃমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে।
দ্রুতগতিতে পানি বাড়ায় ৫ম দফা বন্যার ২য় দিনে কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজলার শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যাবস্থা। নৌকা ও কলাগাছের ভেলাই যোগাযোগের মাধ্যম বানভাসিদের। প্রায় ৫ হাজার হেক্টরের বেশি আমন ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। ঘরবাড়িত পানি ওঠায় অনেকেই পরিবার ও গবাদী পশু নিয়ে বাঁধ ও উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। বন্যাকবলিতদের মাঝে দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার এবংবিশুদ্ধ পানির সংকট। ধরলা অববাহিকার কয়েকটি গ্রামে প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে শতাধিক ঘর বাড়ি। পানি বাড়ার ফল বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর ভাঙন তীব্ররুপ ধারণ করেছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে বসতভিটা,রাস্তা ও বাঁধ।