রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুর সদরের খামার মোড় সংলগ্ন আলম নগর স্টেশন রোডে ও অন্যান্য এলাকায় এক কোমর পর্যন্ত পানি উঠে গিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান যে উক্ত এমন পানি তারা জীবনে এর আগে কখনো দেখেনি এই প্রথম তাদের এখানে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে।
শুধু খামারমোড় নয় রংপুর নগরীর আরো বিভিন্ন এলাকায় এখনও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নগরবাসীরা।
রংপুর নগরের মুলাটোল
মুন্সিপাড়া, শাপলা চত্বর, আমতলা মোড়, খামার মোর, ডিমলা মোর, স্টেশন, আনসারী মোর, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, টার্মিনাল, গনেশপুর,সেনপাড়া, গুপ্তপাড়া, ধাপ, মেডিকেল পূর্বগেট,পাকারমাথা,
আইডিয়াল মোর কেরানিপারা, ইসলামপুর, ইসলামবাগ,ভগিবালাপাড়া, বউবাজার,লালবাগ,পার্কের মোড়, কামদেবপুর , কেরানিরহাট,হাজিরহাট,হাসনা বাজার,জুম্মাপাড়া সহ সকল এলাকায় এলাকায় পানিবন্ধি হয়ে আছে নগরবাসীরা।
উক্ত বিষয়ে মুন্সিপাড়া ,মুলাটোল থেকে এক পানিবন্দি এলাকাবাসী জানান, রংপুর নগরীতে এখনো ড্রেনের কাজ ঠিকভাবে করা হয়নি। কারণ এক রাতের বৃষ্টিতে যদি তলিয়ে যেতে পারে একটি এলাকা তাহলে, অবশ্যই এখানে ড্রেনের কাজে গাফিলতি রয়েছে। রাস্তাঘাটে জমাকৃত সকল পানি বৃষ্টি শেষে নেমে আসে সম্পুর্ন এলাকায়। এ কারণে বৃষ্টির পর তলিয়ে যায় এলাকাগুলো। আর এই এলাকাগুলো তলিয়ে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়ার ফলে তাদের রান্না এবং টয়লেটে খুবই অসুবিধায় পরতে হয়। যদি সঠিকভাবে ড্রেনের কাজ পরিপূর্ণভাবে করা হতো তাহলে বৃষ্টি থামার পর রাস্তার পানি গুলো সরাসরি এলাকায় নেমে না এসে ড্রেনে নেমে যেত। এতে করে এলাকাগুলো প্লাবিত হতো না এবং পানিবন্দি হয়ে পড়তো না এলাকাগুলো। সাধারন মানুষের এই জনদুর্ভোগ গুলো পোহাতে হতো না। তারপর রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই,একদিকে টানা বর্ষণ অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অসুবিধায় পড়ে যাচ্ছে নগরবাসীরা । বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মানুষের ফোনে চার্জ নেই ,ফোন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ,যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে । পাচ্ছে না খাবার পানি, না পাচ্ছে ব্যবহার করার পানি। চরম দূর্ভোগে পড়েছে নগরবাসীরা।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..