আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যন্ত কামারগ্রামে আজ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) হচ্ছে। সৌজন্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর পেছনে শতভাগ দৌড়ঝাঁপ করে এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের কারিগর আরিফুর রহমান দোলন। সমাজসেবক প্রপিতামহ কাঞ্চন মুন্সীর দেখানো পথ ধরে নিরন্তর হেঁটে চলেছেন তিনি। রাজনীতি যে সমাজ আর মানুষের সেবার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম এই স্লোগানকে সার্থকভাবে বাস্তবে অনুসরণ করে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালীর সুবিধা বঞ্চিত লাখো লাখো নাগরিকের হৃদয়ে আরিফুর রহমান দোলনের নামটি পরম ভালোবাসা, স্নেহে, শ্রদ্ধায় লেখা হয়ে গেছে। আপাদমস্তক বিনয়ী পরোপকারী মানুষটি পরম মমতায় কাছে টেনে নেন সাধারণ মানুষকে। টিটিসি স্থাপনে দৌড়ঝাঁপই শুধু নয় এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির নির্মাণে সরকার থেকে সহায়তা আনতে নিরন্তর চেষ্টায় তার জুড়ি মেলা ভার।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ স্মৃতি পাঠাগারের (মধুখালীতে) চারপাশে নান্দনিক সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সরকারি সহায়তা এনে দেওয়াসহ যেখানে যে অঙ্গীকার আরিফুর রহমান দোলন করেছেন তার বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সেটি সার্থকও করে তুলেছেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বেগম শাহানারা একাডেমী। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহস্রাধিক শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বছরের পর বছর চিকিৎসাবঞ্চিত কয়েক হাজার মানুষের চোখের চিকিৎসা হয়েছে আরিফুর রহমান দোলনের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়। অন্তত কয়েক শতাধিক প্রায় দৃষ্টিহীন মানুষ এভাবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। কখনো অগ্নিকাণ্ডে ঘর হারানো মানুষের পাশে দাঁড়ানো আবার কখনো শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিরবে নিভৃতে চালিয়ে যাওয়া বিরামহীনভাবে এভাবে মানুষের সেবায়ই নিয়োজিত আরিফুর রহমান দোলন।
সংবাদকর্মী হিসেবে বর্ণাঢ্য এক কর্মজীবন তার। মেধা, দক্ষতা ও পরিশ্রমের পথ বেয়ে দেশের সাংবাদিকতা জগতে আরিফুর রহমান দোলন সমাদৃত এক নাম। শিক্ষা জীবনে কৃতি শিক্ষার্থী। হাতেখড়ি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীতে। তারপর আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছে। কর্মজীবন শুরু হয় দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার (কলকাতা) হিসেবে। পরে দেশে ফিরে যোগ দেন সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায়। এরপর দৈনিক প্রথম আলোয়। স্টাফ রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার, ডেপুটি চীফ রিপোর্টার এবং স্পেশাল করসপন্ডেন্ট হিসেবে সব মিলিয়ে প্রথম আলোতে এক দশকের পেশাগত জীবন। পরে যোগ দেন দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’র প্রতিষ্ঠাকালীন উপসম্পাদক পদে। তারপর আসেন দৈনিক ‘আমাদের সময়’র নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। এছাড়া বাংলাভিশন টেলিভিশনে বার্তা সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। চাকরির পর্ব চুকিয়ে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে মেলে ধরার চ্যালেঞ্জ থেকেও পিছপা হননি। বর্তমানে তিনি সাপ্তাহিক এই সময়, দৈনিক ঢাকা টাইমস ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকাটাইমস২৪ডটকম-এর সম্পাদক।
কর্মজীবনে স্বীকৃতি পেয়েছেন চারণসাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার। রাজনীতি, অপরাধ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক রিপোর্টিংয়ে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিং পুরস্কার এবং পরিবেশবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা। তার প্রকাশিত গ্রন্থ তিনটি। মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য সম্পদ ‘একাত্তরের গোপন দলিল’, বিভিন্ন প্রসঙ্গে তার লেখা মতামতের সংকলন ‘রাজপাট’ গবেষক ও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে কম সময়ে। সম্প্রতি তার সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘অদম্য শেখ হাসিনা’ বইটি সর্বমহলে সমাদৃত হয়েছে।
সংবাদকর্মী থেকে উদ্যোক্তা, ব্যবসা বাণিজ্যে নিয়োজিত থেকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে এভাবে যিনি মানুষের সেবা করার মাধ্যমে রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিরলসভাবে প্রচার করে চলেছেন তিনি স্বভাবতই তৃণমূলের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। পেশাগত জীবনেও যথেষ্ট সাবলীলভাবে এগিয়ে চলেছেন। বার বার জঙ্গিদের হাঁড়ির খবর তুলে এনেছেন পত্রিকার পাতায় এবং এভাবে দেশে জঙ্গিবাদ দমনেও সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।
ঐক্যবদ্ধভাবে বারবার এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বানও রাখেন আরিফুর রহমান দোলন। তবু কতিপয় ঈর্ষাপরায়ণ নিন্দুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে তার চরিত্র হনন, সুনাম বিনষ্ট করে পিঠে ছুরি মারার চেষ্টায় রত। বিনয়ের সাথে বলি, অনুগ্রহ করে এসব না করে ভালো কাজে আরও সক্রিয় হন সংশ্লিষ্টরা। কারণ সাধারণ মানুষ কিন্তু কাজের মূল্যায়ন ঠিকই সময়মতো করবেন। আর সৃষ্টিকর্তাও সব জানেন। পিঠে ছুরি মারার চেষ্টাকারীরা সৃষ্টিকর্তার ইশারাতেই পরাস্ত হবেন।
হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
Leave a Reply