সুজন সারোয়ার,টঙ্গী
গাজীপুরের টঙ্গী মধ্য আরিচপুর শেরে বাংলা রোডে নুরুন্নাহার বেগম (১৮) নামের গৃহকর্মীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক হাবিবুর রহমান হাবিবকে (২২) গত সোমবার হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নূরুন্নাহার মধ্য আরিচপুর শেরে বাংলা রোডের মোশারফ হোসেনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। ওই বাসার পাশেই একটি হোটেলে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতো হাবিবুর রহমান হাবিব। তারা উভয়েই পাশাপাশি বাসায় থাকায় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এই সুবাদে তারা উভয়েই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে যায় এবং নূরুন্নাহারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অবৈধ মেলামেশা করে হাবিব। একপর্যায়ে গত ৪ জানুয়ারি নূরুন্নাহার তার বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে বাড়ির মালিক ৯৯৯ এর মাধ্যমে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় গত ৪ জানুয়ারি টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (নং-০১/২০২০) দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
ময়নাতদন্তে ভিকটিম নূরুন্নাহার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মর্মে রিপোর্ট আসে। এঘটনায় গত সোমবার টঙ্গী পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-৩৭) দায়ের করা হয়। পরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুলহাস উদ্দিন ওইদিনই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার পুড়াইখলা গ্রাম থেকে হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে টঙ্গী পূর্ব থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার আসামী ধর্ষক হাবিবুর রহমান হাবিবকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।