মোঃ ইউসুফ, লক্ষ্মীপুর : আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্মীপুরে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছে ৩শতাধিক শিশু। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রগুলোর চিত্র একই। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন,আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। শীত বাড়ার সাথে সাথে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েই যায়। পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ রয়েছে। প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানা যায়, ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতাল। প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য এ সদর হাসপাতালে ভিড় করছেন। আক্রান্ত হয়ে জরুরী বিভাগে ৭০/৮০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে গড়ে ৩০/৩৫জন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিটি বেডে ২/৩জন রোগী ভর্তি দেয়া হচ্ছে। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৭শতাধিক রোগী। এর মধ্যে ৩শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ্ছাড়া কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ও আসছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের দাবী স্থানীয় এলাকাবাসীর। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, প্রতিদিনই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। প্রতি বেডে এক শিশুকে চিকিৎসা দেয়ার কথা থাকলেও বেড না থাকায় দুই/তিন শিশুকে এক বেডে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। ভর্তির পর হাসপাতাল থেকে তাদের খাবার স্যালাইন ও সামান্য কিছু ঔষধ দেয়া হয়। বাকী ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয়। এছাড়া তেমন চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছেনা। পাশাপাশি ময়লা ও দুগন্ধে এবং টয়লেটের অবস্থায় খুবই নাজুক। ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ইছমাইল হাসান ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। ঠান্ডার কারনে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলছে। আক্রান্ত হয়ে জরুরী বিভাগে ৭০/৮০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এক মাসে প্রায় আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ রয়েছে। প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। সাধ্যমতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশুদের গরম কাপড় পরিধানসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা
Leave a Reply