1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
সাড়ে তিন বছর পার হলেও মজুচৌধুরীর হাট- নৌ-বন্দরের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কসবায় বিএসএফের এলোপাথাড়ি গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত! চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক ১ঃ মাদক পরিবহনে নিয়োজিত মোটর সাইকল জব্দ ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং “হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স” চট্টগ্রামে ১৪ পিছ বিদেশী স্বর্নের বার সহ আটক ১ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ছেড়ে দিয়েছে আদালত আওয়ামীলিগের সময়ে আওয়ামীলিগের নেতা , বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতা সেজে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা ! নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলজিইডি কুমিল্লার মতবিনিময় কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ! সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাড়ে তিন বছর পার হলেও মজুচৌধুরীর হাট- নৌ-বন্দরের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ২.২১ পিএম
  • ২৭১ বার পঠিত

মো. ইউসুফ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
ঘোষনার সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হলেও লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটে- নৌ-বন্দরের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ মজুচৌধুরীরহাটে নৌ-বন্দর নির্মান প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভূমি জরিপ ও অধিগ্রহনের জন্য সার্ভেয়ার নিয়োগ করা হলেও তারা এখনও কাজ শুরু করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ নৌ-বন্দর বাস্তবায়িত হলে ২১ জেলার মানুষের মধ্যে যোগাযোগের নতুন সেতুবন্ধন তৈরি হবে।তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, প্রকল্পটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নৌ-মন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন। ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হয়েছে।
জানাযায়,লক্ষ্মীপুর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মজুচৌধুরীরহাটের অবস্থান। এ মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাট থেকে বরিশাল, চট্রগ্রাম,সিলেট ও খুলনা বিভাগের ২১ জেলার মানুষ এ নৌ-রুট দিয়ে চলাচল করে আসছে। এখানে নৌ-বন্দর নির্মান করার জন্য দীর্ঘদিনের দাবী ছিল এ অঞ্চলের মানুষের।

এ দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুরে এসে নৌ-বন্দর নির্মান প্রকল্পসহ বেশ কিছু কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগে একই বছরের ১২ জানুয়ারী নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের টিএ শাখা রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

কিন্তু ঘোষনার সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বন্দর নির্মানের কোন অগ্রগতি নেই। অভিযোগ রয়েছে, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটি এর যৌথ সার্ভে কমিটির সমন্বয়হীনতার কারনে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সংকট তৈরি হয়।

এতে করে বন্দর নির্মান প্রকল্পটি নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষ। দ্রুত বন্দর বাস্তবায়ন চাই এ জেলাবাসী। নৌ-বন্দর বাস্তবায়নের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনসহ নানা কর্মসুচি পালন করে আসছে সর্বস্তরের মানুষ।

এ দিকে একাধিকবার লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার সাথে লঞ্চ চলাচলের ঘোষনা দিয়েও এখন পর্যন্ত আলোরমুখ দেখেনি জেলাবাসী। এতে করে হতাশা বিরাজ করছে ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্যাথলজি মালিক সমিতির সভাপতি ও বিডিবাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকমের প্রকাশক সম্পাদক আব্বাছ হোসেন ও প্যাথলজি মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, ব্যবসায়ী ও শীর্ষ ডটকমের সম্পাদক নজরুল ইসলাম জয়সহ অনেক ব্যবসায়ী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হলেও বন্দরের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই।

মজুচৌধূরীরহাটে নৌ-বন্দরটি বাস্তবায়িত হলে বরিশাল,চট্রগ্রাম,সিলেট ও খুলনা বিভাগের ২১ জেলার মানুষের মধ্যে যোগাযোগের নতুন সেতুবন্ধন তৈরি হবে। তৈরি হবে শিল্প কলকারখানার। দ্রুত প্রকল্পের নির্মান কাজ শুরু করার দাবী স্থানীয়দের।

জেলা বেসরকারী হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মো. কাউছার ও জেলা বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান,প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার সাড়ে তিন বছর পার হলেও বন্দরের কোন অগ্রগতি নেই। এতে করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দ্রুত বন্দর বাস্তবায়ন করার দাবী জানান তারা।
লক্ষ্মীপুর জেলা উন্নয়ন বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব হোসাইন আহমেদ হেলাল জানান. নৌ-বন্দর নির্মানের জন্য সরকারকে জমি দিতে প্রস্তুত। এখনো বন্দরের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশার মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী,সাধারন মানুষ। সরকার নদী বন্দরের যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটি দ্রুত বাস্তাবয়ন হলে এ বন্দর হবে ব্যবসার প্রান কেন্দ্র।

প্রসার ঘটবে লাখ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হবে।

চাঁদপুর বিআইডাব্লিউটিএ উপ-পরিচালক একেএম কাইছারুল ইসলাম বলেছেন, মজুচৌধুরীরঘাটের ইজারা নিয়ে আইনী জটিলতা, দ্বৈত প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারনে আটকে আছে নৌ-বন্দরের সার্ভের কাজ। এ দাপ্তরিক জটিলতা নিষ্পত্তি না হলে বন্দরের সার্ভের কাজ কোনভাবে শুরু যাচ্ছেনা।

পাশাপাশি জমি অধিগ্রহন,সীমানা নির্ধারনসহ বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজ পুরোপুরি বিআইডাব্লিউটিএর কাছে হস্তান্তর না হওয়ায় কাজের ধীরগতি বলে জানান তিনি। তারপরও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমি অধিগ্রহন ও সার্ভের কাজ শুরু করার আশ^াস দেন তিনি।

জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেছেন, প্রকল্পটি নৌ-মন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্পটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে নৌ-বন্দরের কাজ শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews