বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা সোনারভিটা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জিএম মানিক (৪৫) ও বামনদল গ্রামের পরমদ্দিনের ছেলে আবু কালাম ওরফে গামছা কামাল (২৯)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী বলেন, বহুল আলোচিত জুয়েল হত্যায় দায়ের করা মামলা, পুলিশের উপর হামলা ও ইউপি ভবনে হামলার মামলায় অজ্ঞাতনামীয় আসামি জিএম মানিক ও আবুল কালামকে আটক করা হয়। তদন্তে ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তিন মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বুধবার বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তাদের দুই জনকেই ৩দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা নাটারবাড়ি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ফরিদুল ইসলামকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে তাকেও আদালতে হাজির করে হত্যা মামলায় ৩দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক।।
এর আগে ২৯ অক্টোবর পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হামলা চালিয়ে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ মহাসড়কে নিয়ে এসে আগুনে পুড়িয়ে দেয়