শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
শীতের সকাল কুয়াশার চাদরে ঢাকা সূর্য মামার মুখ যেন বেরতেই চাইছেনা, কিন্তু এরই মধ্যে জীনব জীবিকার সংগ্রামে সাইকেলে চেপে ছুটছে শ্রমজীবী মানুষ। দু-মুঠো ডাল ভাতের তো জোগান দিতেই হবে পরিবারের জন্য এটাই তো বেচে থাকার লড়াই।
উত্তরবঙ্গের শীত যেন তার স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা সূর্যের কোন তীব্রতা নেই। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। পর্যাপ্ত ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে এসেছে অস্বস্তি দুর্ঘটনা ঘটে তো চলেছে।
এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন রকমের রুগির বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শিশু, বয়স্ক ও চর্মরোগ জনিত রুগী একটু বেশি ।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুয়াশা আগামীকাল (বুধবার) থেকে কমতে শুরু করবে।আর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শৈত্য-প্রবাহের কোন শঙ্কা নেই।
শীতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে এখনো এক সপ্তাহ বাকি।তবে অগ্রহায়ণের শেষেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের দাপট।
উত্তরের জেলাগুলো রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঢাকা থাকে কুয়াশার চাদরে।এতে যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।গাইবান্ধায় দিনের বেলাতেও ভারি যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতেহয়।নাটোর ও মাগুরাতেও বেড়েছে শীত।
এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ।বিশেষ করে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।ঠান্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে বাড়ছে এসব রোগীর সংখ্যা।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি। তবে এই ঘন কুয়াশা দু-একদিনের মধ্যে কমে যাবে।
শিগগিরই কোন শৈত্যপ্রবাহ হবে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।