
সোমেন সরকার
চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারনায় একের পর এক সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে।আহত ও মৃত্যু যেনো থামছেইনা।
শনিবার নগরীর টাইগারপাস এলাকায় নৌকা মার্কার প্রচারণা নিয়ে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
টাইগারপাস এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গণসংযোগ ছিল বিকেল সাড়ে ৫টায়। এর আগে লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল ও লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম তাদের অনুসারীদের জমায়েত করতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখী হলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। দুই পক্ষই একে অপরকে পাথর নিক্ষেপে করেন। পরে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন।
কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, দিদারুল আলম মাসুম কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছে। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা উপলক্ষে আমাদের কর্মীরা জমায়েত হলে মাসুমের অনুসারীরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের কর্মী মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, মাহমুদ ও শাহীন আহত হন। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের কর্মীরা জমায়েত হওয়ার সময় বেলাল গ্রুপের লোকজন পেছন দিক দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
একিদিনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিকেল তিনটার দিকে ডা. শাহাদাত নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ থেকে হালিশহর পর্যন্ত গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে হালিশহর রুপসা বেকারির সামনে শাহাদাতের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয় বলে জানান ডা. শাহাদাতের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী।
তিনি অভিযোগ করেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা শাহাদাতের গাড়ি বহরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা বিএনপি প্রার্থীর গাড়ির লাইট-গ্লাস ভাঙচুর করে। এসময় বিএনপির ৩-৪ জন কর্মী আহত হন বলেও দাবি করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply