খুলনা ব্যুরো: খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, খুলনার খালিশপুরের কাশিপুর এলাকার মৃত আব্দুল গনি সরদারের স্ত্রী জরিনা বেগম বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে করোনা সন্দেহে ভর্তি হন। সেখানে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান। রূপসার খাজাডাঙ্গার মৃত আরশাদ আলীর ছেলে মো. আলী বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৪০ মিনেটে ভর্তি হন। শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
তারা আরো জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় কার্ত্তিক নামের একজন মারা যান। তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের মৃত নিতাইয়ের ছেলে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কার্ত্তিক (৪০) নামে ওই যুবক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টায় খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
অন্যদিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে জামসেদ আলম (৬০) নামে একজন শুক্রবার দুপুর সোয় ২টায় খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তিনি মারা যান। তিনি খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার মো. আহমদের ছেলে।
এ ছাড়া জ্বর ও শ্বসকষ্ট নিয়ে রুমা বেগম (৩৫) নামে এক নারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টায় খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টায় তিনি মারা যান। তিনি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বাবুল ফারাজীর স্ত্রী।
জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাসিম আহমেদ (৬০) দুপুর ৩টায় খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌঁনে ৪টায় তিনি মারা যান। তিনি নগরীর মহম্মদনগর এলাকার মফিজউদ্দিন আহমেদের ছেলে।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।