নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে ব্যাপকভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় করতোয়া নদীর ৩০টি পয়েন্টে বালু ব্যবসায়িরা বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে বালু ব্যবসায়ি এবং প্রভাবশালী চক্রটি যেমন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হচ্ছে। অপরদিকে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলনের ফলে করতোয়া নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, ফসলী জমি ও বসতবাড়ি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও কাটাখালী ও বাঙ্গালী নদী থেকেও অবাধে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ফুলাহার থেকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানতলা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার করতোয়া নদীর বুক জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর ভূগর্ভ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালূ উত্তোলন করে নদী পাড়েই ঢিবি দিয়ে মজুত করে রেখে লাখ লাখ টাকার বালুর বেচাকেনা চলছে। ব্যাপক হারে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হলেও সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। মাঝে মাঝে লোক দেখানো ২-১টি অভিযান পরিচালনা করা হলেও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। বরং সংশ্লিষ্ট পয়েন্টে আবার অবাধে বালু উত্তোলন করা অব্যাহত থাকছে। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিপনন ও পরিবহন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলাও করা হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের বিরুদ্ধেও জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..