ডেস্কঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সাতদিন ধরে লাগাতার ৩ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ফারুক মিয়া (৩৫) নামে এক নরপিশাচকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এই নিকৃষ্ট ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম দুলাল গ্রামে। আটক ভন্ড ফারুক সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানার কঞ্চিবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান দৈনিক মানব বার্তাকে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা ফোনে এ ঘটনার কথা জানালে গোপন অভিযান চালিয়ে বিকেলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম দুলাল গ্রাম থেকে ফারুক মিয়াকে আটক করা হয়। ফারুক পেশায় একজন গ্রাম্য কবিরাজ। ঝাড়ফুঁক দিয়ে মানুষের কাছে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি গোপনে ঝাড়ফুঁকে নাচানাচি ও গানবাজনা করার জন্য স্থানীয় শিশু কিশোরীদের নিজের দলে ভিড়িয়ে নেন। এরপর আল্লাহ খোদার দোহাই দিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন ফারুক। তিনি আরও বলেন, ভন্ড ফারুক কবিরাজ সাত-আট দিন আগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম দুলাল গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে প্যারালাইসিস রোগী আতাউর রহমানকে ভালো করার জন্য ঝাড়ফুঁক, নাচানাচি ও গানের জন্য একই গ্রামের দশ, এগারো ও বারো বছর বয়সের ৩ শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে থেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু ঝাড়ফুঁক, গানবাজনা ও নাচা-নাচির পাশাপাশি কবিরাজিতে সাধন হওয়ার কথা বলে গোপন কক্ষে নিয়ে অচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ফারুক। এরই এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ভন্ড কবিরাজ ফারুককে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে আমাদের একটি দল ঘটনা স্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি’। বর্তমানে ভুক্তভোগী তিন শিশু তাদের তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে তিনি জানান। সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দল্লাহিল জামান মুঠোফোনে দৈনিক মানব বার্তাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। গত সাতদিন ধরে তন্ত্র-মন্ত্র ও সাধন শেখানোর কথা বলে তাদের নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল। এ ঘটনা বাহিরের কাউকে বললে সাধন নষ্ট হবে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত উঠে মারা যাবে! এ কারনে ভুক্তভোগী তিন শিশু ওই ভন্ডের দুষ্কর্ম্মের কথা কাউকে বলেননি।