রোস্তম আলীঃ রংপুর জেলা প্রতিনিধি
রংপুরে অবসরপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আরজুমান্দ বানু হত্যা মামলা নতুন মোড় নিতে শুরু করেছে। নগরীর মুলাটোল হকের গলি এলাকার বাসিন্দা আরজুমান্দ বানুকে গত বছরের ১৯ মে রাতে নিজ বাড়িতে হত্যা হয়। হত্যা মামলায় জেল হাজতে থাকা আসামী আরমানকে পিবিআই পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ডে নেন। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পিবিআই’র মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে আরমান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যা মামলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্রে জানা গেছে, আরজুমান্দ বানুকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার মেয়ে তানিয়া মাহাজাবিন সুমি ঢাকায় বসবাস করতেন। সুমির সাথে ৩ বছর আগে তার স্বামী মোহনের তালাক হয়ে যায়। কিন্তু তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মোহন বাদি হয়ে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলায় তাজহাট আনছারীর মোড় এলাকার রমজান আলীর ছেলে আরমান আলী, মুলাটোল হকের গলি এলাকার রোকসানা বেগমকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ২৮ আগস্ট আরমান আলী ও রোকসানা বেগমকে অভিযুক্ত করে চার্জসিট প্রদান করা হয়। পুলিশ আরমানকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন
এদিকে নিহতের মেয়ে মোহনের বাদি হওয়ার বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও প্রকৃত হত্যাকারিকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ জানায়। আদালত তার অভিযোগ ও মোহনের মামলাসহ দুই বিষয়কে আমলে নিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্তের ভার দেন রংপুর পিবিআই পুলিশকে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে আরমানকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেন। বৃহস্পতিবার তার রিমান্ড শেষ হয়। রিমান্ডে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই একরামুল হক ।