গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় কড়া নিরাপত্তা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রে নারীদের দীর্ঘ লাইন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে অত্যন্ত আমেজ নিয়ে তারা কেন্দ্রে এসেছেন ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতিও। এ পৌরসভায় এখনো কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ-র্যা বসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রয়েছে। ৯ টি ওয়ার্ডের ১৫ টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রে ১৫জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে আইন-শৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা ও নির্দেশনা প্রদানসহ মোবাইল কোর্ট আইন ২০১৫ এর আওতায় নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালনের দায়িত্ব পালন করবেন ওই ম্যাজিস্ট্রেটরা। এর মাঝে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পৌর এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার হতে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৮জন আনসার সদস্যর পাশাপাশি পুলিশের ৪টি ও র্যাৌবের ৩টি মোবাইল, ৯টি স্টাইকিং টিম সার্বক্ষণিক টহল প্রদান করবে। নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী যেকোনো সহিংসতা মোকাবেলায় ২ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের ভোট গ্রহনের জন্য ১৫টি কেন্দ্রে ১৫ জন প্রিজাইডিং, ৯২জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১৮৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৯ হাজার ৯শ’ ৭৯ জন। এর মাঝে পুরুষ ১৪ হাজার ৬৭৪ ও নারী ১৫ হাজার ৩০৫ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থীসহ ৫ জন মেয়র, ১২ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ৩৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে একেএম জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), ফারুক আহমেদ (ধানের শীষ), আনিছুর রহমান (হাতপাখা), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মুকিতুর রহমান রাফি (নারিকেল গাছ) ও স্বতন্ত্র জহুরা খাতুন (মোবাইল ফোন) মার্কায় লড়ছেন।