রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ খ্রিঃ রংপুরের তারাগঞ্জ থানায় মাসিক অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভা সোমবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় অফিসার ইনচার্জ এর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দ্বায়িত্বে), আব্দুর শুকুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম পুলিশ সুপার রংপুর মহোদয়।
“মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ অঙ্গীকার সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে আমরা কাজ করছি” বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি মাসের ন্যায় তারাগঞ্জ থানার মাসিক অপরাধ সভায় মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি ওয়ার্ডকে এক একটি বিট নির্ধারণ করা হয়েছে । নির্ধারিত বিট অফিসাররা তার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দুষ্কৃতকারীদের তথ্য নিলে সহজেই প্রতিরোধ করা যাবে। দায়িত্বশীল অফিসার তার এলাকার জনতার সাথে মিলেমিশে কাজ করলে অপরাধ প্রবণতার মাত্রা কমে যাবে।
তারাগঞ্জ থানার অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় আরো বলেন, নিজ নিজ বিটের আওতাধীন এলাকার শীর্ষস্থানীয় অপরাধীর তালিকা প্রস্তুত করবেন। প্রতিটি বিট এলাকায় মাদকসেবী, ব্যবসায়ী, অর্থলগ্নীকারী, খুচরা বিক্রেতা ও পরিবহনকারীদের তালিকা প্রস্তুত করবেন। এছাড়াও চোরাচালানকারী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অপরাধী, চাঁদাবাজ, মানব পাচারকারী, অবৈধ ভূমি দখলকারী, নারীদের উত্ত্যক্তকারী, জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি, চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অভ্যাসগত অপরাধীদের ও তাদের সহযোগীদের তালিকা প্রস্তুত করবেন। তাদের বাসস্থান ও অপরাধস্থল চিহ্নিত করবেন এবং তাদের উপর নজরদারি করবেন। বিটের আওতাধীন এলাকা সমূহের ভাড়াটিয়াদের তালিকা প্রস্তুত করবেন। বিটের আওতাধীন এলাকার প্রবাসীদের তালিকা প্রস্তুত করবেন। বিটের আওতাধীন এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির এবং সেসবের প্রধানদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও ব্যবসায়ী সংগঠন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও, বিদেশি সংস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন। বিটের আওতাধীন এলাকায় বহিরাগত লোকজনের যতদূর সম্ভব বি-রোল ইস্যু করতে হবে। চৌকিদার/দফাদার ও আনসার/ভিডিপি সদস্যদের বিট পুলিশিং এর কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় করবেন। তাদের অপরাধ প্রতিরোধ ও পুলিশের সাথে সহযোগিতার জন্য বিশেষ পরামর্শ প্রদান করবেন।
অপরাধ ও আইন শৃংখলা পর্যালোচনা সভায় তারাগঞ্জ থানার সকল অফিসার ফোর্সদের তিনি আরও বলেন, মাদক নীরব ঘাতক। মাদক নির্মূলে নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে হবে, যা মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তারাগঞ্জ থানার আয়োজনে অপরাধ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ,মধুসূদন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রংপুর, এবং সিফাত-ই-রাব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বি-সার্কেল) রংপুর।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..