রিয়াজুল হক সাগর হারাগাছ প্রতিনিধিঃ
রংপুরের হারাগাছে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক দ্রব্য যেন দেখার কেউ নেই। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের যুব সমাজ, এই এলাকায় অতি সহজেই হাতের কাজেই খুব সহজেই মিলছে মাদক নামের মরণ নেশা। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে ধীরে ধীরে আসক্ত হচ্ছে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ও যুবকরা । হারাগাছ থানার আশপাশের এলাকা গুলিতে দিনেও রাতের বেলায় মাদকের আসরে ভরপুর । আবার এটিকে অনেক জনে বলে থাকেন আসর। যে সমস্ত এলাকায় মাদকের ব্যাবসা চোখে পড়ে আর আসর জমে এলাকা গুলি হলোঃ মায়াবাজার, চর মর্নেয়া,কিশামত হাজিরবাজার, দক্ষিণ কার্তিক, বুদাই নয়ার বাজার,সৎবাজার চাদকুঠিরহাট মহাব্বাত খা বাজার, খলিফার বাজার, চোদ্দমাথা ছোট্রপুলবাজার জয় বাংলা বাজার,সাহেবগঞ্জ বাজার সহ হারাগাছ থানার আশেপাশের এলাকায় মাদকের মধ্যে গাজা ইয়াবার প্রভাব বেশি দেখা যায়। দক্ষিণ কার্তিকের হামিদ বলেন এখানে মাদকের সমাগম সন্ধা হলে বেশি চোখে পড়ে এখানে পুলিশের নজর এড়িয়ে। অনেকে মাদক সেবনে আসেন নিরাপদের জন্য। এখানে আবার অনেক দোকান গজিয়ে উঠেছে মাদক সেবিদের জায়গাদেয়ার জন্য। মাদকে আসক্ত যুবসমাজের গতিবিধি অনেকটা অপ্রত্যাশিত যেটি কোন পিতামাতার কাম্য নয়। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে এই ুযুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি অভিভাবক এখন দিশে হারা। তাদের সন্তানদের ভবিষৎ অন্ধারের দিকে ধাপিত হচ্ছে। অভিভাবকদের দাবি এই এলাকায় মাদক নামের মরণ ব্যাধী এই এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেন যে মাদক অভিযান যদি অব্যাহত থাকতো এই হারাগাছ এলাকা সহ তার আশপাশে কোন রকমের মাদক দ্রব্য বিক্রি তো দুরের কথা নেশার আসরও বসতে সাহস পাইতো না। আর রাতের আধাঁরে মাদকের আনাগোনা আরও বেশি বেরে যাওয়ায় হারাগাছ মেট্রোপলিশ টুকটাক অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের পোষা কিছু অসৎ লোকদের কারনে আবার তা ব্যাহত হয় অভিযান পরিচালনা। মাদক ব্যাবসার সাথে আরও অনেক লোক হাটে বাজারে পাহারায় থাকেন যে পুলিশ আসলে তারা মাদক কারবারিকে ফোন করে জানিয়ে দেয় যে পুলিশ আসতেছে। সেই জন্য হারাগাছ মেট্রো থানা মাদকের অভিযান পরিচালনায় ব্যাহত হতে দেখা যায় আবার সঠিক সময়ে মাদক কারবারি মাদক সহ আটক হয়। তাই এলাকাবাসির দাবি এই এলাকাগুলিতে দিনেও রাতে মাদক অভিযান অব্যাহত থাকুক আর উঠতি বয়সের ছেলেদের প্রতি নজর ও তাদের গতিবিধি লক্ষ করলে বুঝতে সহজ হবে মাদকের আসল বিক্রেতা আর আসর বসার জায়গা। তবেই মাদক মুক্ত হবে এই সব এলাকা।