![](https://i0.wp.com/surjodoy.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?ssl=1)
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় শ্রম বেচা কেনার হাট। নিয়োগদাতাদের সঙ্গে চুক্তি করেন দিন,সপ্তাহ কিংবা মাস চুক্তিতে।
উপজেলার সাগরদিঘী বাজার,জোড়দিঘী বাজার,ধলাপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে এসব অভাবি মানুষের শ্রম কেনা বেচার হাট বসে।
সাধারণত ধানকাটা ও ধানের চারা রোপনের মৌসুমে এসব শ্রমজীবীদের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময়ে মজুরীও বাড়ে সমান তালে। ভরা মৌসুমে প্রতিজন কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি নির্ধারিত হয় ছয়শ’ টাকা থেকে সাতশ’ টাকায়। মৌসুমের কাজ কমে আসলে মজুরি নেমে আসে চারশ’ থেকে পাঁচশ টাকায়। সাথে থাকে দুথবেলা খাবার ও থাকার জায়গার ব্যবস্থা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে শ্রম বিক্রি হতে আসা এ সব শ্রমজীবী মানুষগুলো যে দিন নিজের শ্রম বিক্রি করতে পারেন না, সেদিন তাদের রাত কাটে বাজারের কাছাকাছি কোন মসজিদ, মাদ্রাসা কিংবা স্কুল ঘরের বারান্দায়। কখনো আধপেটা, কখনওবা উপোস করে রাত কেটে যায় তাদের। সকাল হতেই আবার শ্রম বিক্রির আশায় চলে ছোটাছুটি।
এসব হাট-বাজারে শ্রম বিক্রি করতে আসা অভাবী মানুষদের বেশিরভাগেরই ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকায়।
সাগরদিঘী বাজারে কথা হয় শ্রমিক আলামিন (২২) এবং কাশেম আলীর (৩৪) সঙ্গে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় কাজের আশায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী থেকে ছুটে এসেছেন তারা।
নিয়োগদাতা গৃহস্থ ভাল মানসিকতার থাকা-খাওয়ার অসুবিধা হয় না। তবে তাদের অনেকেই কাজের মানুষকে মানুষ বলেই গণ্য করতে চান না বলে জানান এই দুই শ্রমজীবী।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply