জিহাদ হোসাইন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
পাপুলের আসন শূন্য হওয়ার সাথে সাথে ডজনখানেক নেতার দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচার সহ বিভিন্ন অপরাধে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই তার আসনে সম্ভাব্য উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছিল। এই আলোচনা জোরেশোরে ওঠে আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজনীতিবিদদের সক্রিয়তা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায়। সম্ভাব্য উপ-নির্বাচন ঘিরে এলাকায় যাওয়া-আসা শুরু করেন ডজনখানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এই এমপির রায়ের কপি সরকার হাতে পেয়েছে এবং সংসদ সদস্যপদ ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে জানানোর পর উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা স্ব স্ব দলীয় হাইকমান্ডেও যোগাযোগ শুরু করেন। দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন মনোনয়ন সংশ্লিষ্ট ফোরামে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়ে যায়। ফলে এখন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বাসিন্দা ও রাজনীতিকরা আসনটির উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাপুলের আসন শূন্য ও সম্ভাব্য উপ-নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে এলাকায় যাওয়া-আসা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও এর বাইরের রাজনীতিকরা। এরা আসনটিতে এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এরমধ্যে জনবিচ্ছিন্ন বলে পরিচিত একাধিক নেতাও রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অন্তত ডজনখানেক নেতার অনুসারী আগাম প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। ‘প্রিয় নেতার’ রঙিন ছবিসহ পোস্টার বানিয়ে তারা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলী খোকন, বর্তমান কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হারুনের রশীদের পক্ষে দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা আলাদা ও বিক্ষিপ্তভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়েছে ওই নেতাদের পোস্টার-ফেস্টুনও।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। যদিও এ সংখ্যা নগণ্য। গেল নির্বাচনেও তিনি এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। খায়ের ভূঁইয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম আর মাসুদ ও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠুও এই আসনের এমপি হতে চান।