খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বেপরোয়া ভাবে চলছে হাল চাষের ট্রাক্টর নামক ট্রলি। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করা এসব অবৈধ যানের অবাধ চলাচলের কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে রাস্তাঘাট, পরিবেশ ও জনজীবন। সড়কে ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। সমগ্র পরিবেশ হয়ে যাচ্ছে ধূলোময়।
চাষাবাদের জন্য কেনা ট্রাক্টর দিয়ে বানানো হয়েছে এসকল ট্রলি। পরে এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে ইট, মাটি ও বালি টানার কাজে। লাইসেন্সবিহীন শিশু-কিশোর চালক দিয়ে চালানো হচ্ছে যত্রতত্র। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় এসব ট্রলির বেপরোয়া চলাচলের কারণে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট বিনষ্ট হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি দূর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সহ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অনেকে।
সড়কের দুই পাশে থাকা বাড়ি ও গাছপালা ধুলায় তলিয়ে গেছে। রাস্তার সাথে সাথে চুরমার হচ্ছে ছোট ছোট স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নদী খননের মাটি সরকারী কাজে নিয়ে যাওয়াসহ অসাধু ব্যাবসায়ী কর্তৃক কৃষিজমির টপসয়েল, ইট ও বালি ভর্তি ট্রলি বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৪ থেকে ১৮ বছরের শিশু-কিশোররাই এগুলো ড্রাইভিং করছে। বেপরোয়া গতি ও কানফাটা শব্দে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
বেশ কয়েকজন পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব ট্রাক্টর মাটি, ইট, বালি পরিবহনে ব্যবহারের কারণে রাস্তা-ঘাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি ধুলাবালির কারণে পরিবেশ ও জনজীবনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ট্রাক্টরের বেপরোয়া আওয়াজ ও গতিতে মানুষ অতিষ্ঠ। সার্বক্ষণিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। রোড পারমিশনবিহীন এসব অবৈধ ট্রাক্টর লাইসেন্স বিহীন চালক দ্বারা চালিয়ে রাস্তা-ঘাট ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান বলেন, অদক্ষ ট্রলি ড্রাইভার ও বেপরোয়া গতির কারনে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply