উল্লাপাড়া প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আল- আমিন সরকারে বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশের চাকুরী দেবার কথা বলে ঘুঘ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে।আল-আমিন সরকার উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ।
ভুক্তভগি আদিবাসি নারী ঝর্ণা রানী গত ১৪ র্মাচ উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।ঘুষের টাকা চাইতে গেলে সংখ্যা লঘু পরিবারকে মারপিট , খুন শুমের ভারত পাঠিয়ে দেবার হুমকি প্রদান করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশে চাকুরী দেবার কথা বলে ইউনিয়নের গয়হাট্টা পারকুল গ্রামের গ্রাম পুলিশ সনাতন দাসের স্ত্রীর নিকট থেকে প্রায় ৩ বছর আগে ৯০ হাজার টাকা ও আট আনি সনার গহনা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে
পূর্নিমাগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল- আমিন সরকার। কিন্তু গত তিন বছরে চাকুরী না দিয়ে বিভিন্ন সময় চাকুরী পাইয়ে দিবে বলে সময় নেন। চাকুরী না পেয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান আল-আমিন সরকার গত ১২ ফ্রেবুয়ারী সন্ধ্যায় টাকা গহনা ফেরত দেবার কথা বলে তার
বড়িতে ডাকেন ঝর্ণা রানীকে। ঝর্ণা রানী চেয়ারম্যান আল-আমিন সরকারের বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান কৌশলে ঝর্ণা রানীকে মারপিট করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। সেই সাথে টাকা ও গহনার কথা বল্লে ভারত পাঠিয়ে দেবার হুমকি দেয়।এমন ঘটনা
প্রকাশ পেলে নাম প্রকাশ না কার সর্তে বলেন, আল- আমিন চেয়ারম্যান লোক দেখানো মানব সেবার আড়ালে তার লোকজন দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের হুমকি ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ।
তার বিরুদ্ধে মুখ খুল্লে বিভিন্ন ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকে। ইতোপূর্বে আল-আমিন চেয়ারম্যান শহীদবেতিতে জুতা পায়ে দিয়ে ফটো সেশন করলে সামাজিক যোগাযোগে তার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারাও তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করে সাহস পায়নি।
ভুক্তভুগি ঝর্ণা রানী বলেন, গত ৩ বছর পূর্বে গ্রাম পুলিশে চাকুরীর কথা বলে ৯০ হাজার টাকা ও আট আনি সোনার গহনা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু চাকুরী না দেওয়া তার কাছে টাকা ও গহনা ফেরত চাইলে তিন আমাকে তার বাড়ি ডেকে নিয়ে মারপিট করে হত্যার হুমকি দিয়ে বলে টাকা ও গহনা চাইলে ভারত পাঠিয়ে দিব।
বর্তমানে আমিও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
পুর্ণিমাগাতী ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন সরকার বলেন, আমি শুনেছি আমার বিরুদ্ধে ঝর্ণা রানী নামে এক নারী অভিযোগ করেছে। পরে আমি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি আমাকে জানান এক নারী গ্রাম পুলিশে চাকুরী দেবার কথা বলে নাকি আমি ঘুষ গ্রহণ করেছি। আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করে আমার সুনাম নষ্ট করছে। এবং জনগণের কাছে আমার সস্মনহানির পায়তারা করছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদের সাথে মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিপ করেন নি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..