ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ-
জয়পুরহাট জেলা ঘুরে দেখা যায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় চলছে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব এ সংবাদ প্রকাশ করাই জাতীয় সূর্যোদয় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও আক্কেলপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক নিরেন দাস কে বিভিন্ন মহল দ্বারা প্রাণনাশের হুমকিসহ রাতের আধারেও সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনাও ঘটিয়েছে ওইসব মাটি ব্যবসায়ীরা।
সরকারি নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ আছে জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’- এমন সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর সদর সহ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। সোনামুখি ইউপির বাসিন্দা সাহাবুল ও পৌর শহরের সিদ্ধির মোড়ের বাসিন্দা সৈয়দ রানা হুদাসহ বেশ কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এ উপজেলার কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন এর ফলে ফসলি জমিকে পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে।
জেলার পাঁচটি উপজেলা ঘুরে আক্কেলপুর উপজেলায় গিয়ে দেখা যায় পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ডের সোনামণি মকিমপুর মৌজার আকন্দ ব্রিড ফিল্ডের পার্শে একটি ফসলি জমতে ভেকু মেশিন দ্বারা ৭-৮ ফুট গভীর করে পবিত্র মসজিদ, মাজার ও সরকারি কাজের মাটি ব্যবহার হচ্ছে এমন নাম ব্যবহার করে ফসলি জমিতে মাটি খননের মহোৎসব চালাচ্ছে সৈয়দ রানা হুদা ও সোনামণি ইউপির কাঁঠাল বাড়ি গ্রামে পুকুর সংস্কারের মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ভেকু মেশিন দিয়ে ৭-৮ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে সাহাবুল নামে এ প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আক্কেলপুরে চলছে ফসলি জমিতে মাটি খননের মহোৎসব যা জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় বারবার সংবাদ প্রকাশের পরেও তারা কোন ক্ষমতার জোড়ে ফসলি জমিতে মাটি কাঁটছে তার অনুসন্ধানে নামে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় বেরিয়ে আসে তাদের পিছনে থাকা ও গোপনে মাটি কাটার অনুমতি দাতা আধ্যাত্মিক ক্ষমতারধর বেশ কয়েকজন ব্যক্তিদের নাম তাদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুল হাসান এর সংপৃক্ত থাকার গোপন রহস্য শুধু তাই নয় এর আগে গোপীনাথপুর ইউপির চকমৌহুতুরে মুকুল ও সোহাগ কে তিনি রাতের আধারেও মাটি কাটার অনুমিত দিয়ে ছিলেন যা মাটি ব্যবসায়ী সোহাগ সাংবাদিক কে ম্যানেজ করতে এসে নির্বাহী অফিসার রাতের আধারে মাটি কাটার অনুমিত দিয়েছেন এমন তথ্য শিকার করেছেন যে ভয়েজ রেকর্ড টি জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়ের নিকট রয়েছে।
আক্কেলপুরের মাটি খননের সংবাদটি দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় বারবার প্রকাশ করাই সংবাদ গুলো জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ততক্ষণিক আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুল হাসান কে নির্দেশ দিলে তিনি নিজে সরজমিনে না গিয়ে সোনামণি ইউপির তওসীলদার মেহেদী হাসান কে জানালে তিনি তওসীলদার মেহেদি হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মাটি খননের কাজ বন্ধ করলেও কোন জরিমানা না করেই ফিরে এসে সাংবাদিক কে কল দিয়ে জানান মাটি খননের কাজ বন্ধ করেছি বলে কলটি কেটে দেন।
প্রশাসনের এমন অবহেলায় এ মাটি ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং দিনরাত বিরতিহীন পুকুর খনন করে সেই মাটি গুলো উপজেলার হাট বাজারসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার,কোলা ইউপির ভাণ্ডারপুর,মিঠাপুর ইউপিতে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি ইটভাটায় ফিটনেস বিহীন দ্রুত গতির অবৈধ মেসি ট্রাক্টর দ্বারা সরবারহ করা হচ্ছে এরফলে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের নব-নির্মিত রাস্তাঘাট গুলো আর ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ যা দেখার কেউ নেই। আরো জানা যায় এ উপজেলায় কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন সৈয়দ রানা হুদা ও সাহাবুল নামসহ বেশ কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ীরা যার অধিকাংশই আবার ভোগ করছেন
স্থানীয় প্রশাসন সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীরা।
জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় হেড অফিসের নির্দেশে মাটি খননের বিষয়টি নিয়ে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুর হাসানের সাথে জেলা প্রতিনিধিকে কথা বলতে বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুল হাসানের কে কল দিলে তিনি সাংবাদিকের কলটি কেটে দিয়ে কিছুক্ষণ পরে তিনি সাংবাদিক কে কল দিয়ে বলেন, আপনি কি-? পেয়েছেন, সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বলুন এমন কালক্ষেপণ করে কলটি কেটে দেন তিনি। প্রথম পর্ব আক্কেলপুরের এ মাটি খননের আধ্যাত্মিক রহস্যের আরো বিস্তারিত জানতে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় চোখ রাখুন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..