বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোরের কেশবপুরের সন্তান পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাসান আলীর মরদেহ তার কর্মস্থল পাবনার আতাইকুলা থানা থেকে রোববার রাত ৩টার দিকে গ্রামের বাড়ি সুজাপুরে পৌঁছায়। এ সময় মরদেহকে ঘিরে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ওই রাতেই শত শত মানুষ তাকে এক নজর দেখতে তার বাড়ি সদর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামে ভিড় করেন। এ সময় পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সোমবার সকাল ৮টায় বসত বাড়ির পাশেই হাসান আলীর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা নামাজে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলা, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান কামাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দিন গাজীসহ পাবনার পুলিশ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শরিক হন। এর আগে রোববার রাতে এশার নামাজ বাদ পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ওই রাতেই পরিবারের লোকজনের কাছে মরদেহ হস্তাস্তর করে অ্যাম্বুলেন্সে কেশবপুরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, হাসান আলী ৩৭তম আউটসাইট ক্যাডেট হিসেবে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী পাবনার আতাইকুলায় থানায় উপ পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন। গত ২১শে মার্চ দিবাগত রাতে রিভলবরের গুলিতে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে। তার বাবা জব্বার আলী একজন ভ্যান চালক।