1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মুকসুদপুরে দেবর-ভাবির পরকীয়ায় নিঃস্ব প্রবাসী স্বামী ও পরিবার
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

মুকসুদপুরে দেবর-ভাবির পরকীয়ায় নিঃস্ব প্রবাসী স্বামী ও পরিবার

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১, ৩.৫৪ এএম
  • ৩০৬ বার পঠিত

তৌহিদ আহম্মেদ রেজা

সর্বনাশা পরকীয়া, দেবর ভাবির অবৈধ প্রেমে নিঃস্ব এক প্রবাসি ও তার পরিবার। প্রবাসী মো: মাহাবুবুর রহমান পনির। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পুর্ব মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পিতৃহীন পরিবারের বড়ছেলে সংসারের সচ্ছলতার জন্য পাড়ি জমান সিংগাপুর। মায়ের চিকিৎসা বোনের বিয়ে, ভাই বোনের পড়া লেখার খরচ, সব চলত তার টাকায়। এক পর্যায়ে ভাই দের মধ্যে দ্বিতীয় মতিউর রহমান রানাকে সিংগাপুর নিয়ে যায় বড় ভাই মাহবুব।

কিন্তু সেখানে না থাকতে পারায় বড় ভাই মাহবুব স্থানীয় বনগ্রাম বাজারে প্রায় দশলাখ টাকা খরচ করে দোকান দিয়ে দেন। মাহাবুবুর রাহমান ২০১৫ সালের শেষের দিকে বিয়ে করেন মধ্যে বনগ্রাম নিবাসী জনৈক সেলিম শেখের মেয়ে তানজিলা আক্তার তায়েবাকে।

পরবর্তীতে তার ছুটি শেষে ফিরে যায় সিংগাপুর । তার বিদেশে যাবার কিছুদিন পরেই শুরু হয় দেবর রানা এবং ভাবী তানজিলা আক্তার তায়েবার অবৈধ প্রেম লীলা। আর বড়ই দুর্ভাগ্য এই যে এই অবধৈ পরকীয়ায় প্রত্যক্ষ এবং পরক্ষ ভাবে সাহায্য করতে থাকে তানজিলার চাচী, চাচাতো বোন এবং আপন গর্ব ধারিণী মা।এদিকে প্রবাসী মাহাবুবের পাঠানো সমস্ত টাকা বিশ্বাস করে নিজের স্ত্রী তানজিলা এবং ভাই রানার কাছে গচ্ছিত রাখতো ।

এদিকে দীর্ঘ এগারো বছরের প্রবাস জীবন শেষ করে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে দেশে আসেন মাহাবুব। কিন্তু এর মধ্যে তাদের পরকীয়া চূড়ান্ত রুপ নেয়। একপর্যায়ে নিজেদের সার্থ সিদ্ধির জন্য রানা, মাহবুবের বউ তানজিলা

এবং তানজিলার মা নাজমা বেগম এই তিন জন সলাপরামর্শ করে এবং সেই মোতাবেক স্বামীর দেয়া প্রায় দশ ভরী সোনা এবং নগদ প্রায় আট লাখ টাকা নিয়া প্রথমে তানজিলা তার বাপের বাড়ি চলে যায় এবং পরে মা নাজমা বেগম,

চাচাতো বোন রুপা, এবং তার ছোট চাচীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দেবর রানার হাত ধরে পালিয়ে যায়। পরে তানজিলা ৯/১১/২০১৭ তারিখে গোপালগঞ্জ নোটারী পাবলিক থেকে মাহবুবকে তালাক প্রদান করে। পালিয় যাবার পরে রানা বিভিন্ন ভাবে নিরিহ,নিঃস্ব মাহবুবকে বিভিন্ন ভাবে মৃত্যুর হুমকি দিতে থাকে।

এই অবস্থার মাহাবুবুর রহমান মুকসুদপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে,ডায়েরী নং-১২৬৯/১০। পরবর্তীতে নেশা খোর রানা উক্ত ঘটনার মাত্র তিন মাস পরে গত ১০/২/১৮ তারিখে তার শশুর বাড়ীর লোকজন এবং স্থানীয় কিছু লোকের পরোক্ষ সহযোগিতায় মাহবুবের শেষ সম্বল একটি কাপরের দোকানের উপর অতর্কীত হামলা চালায়।

কিন্তু স্থানীয় লোকজনের বাধার কারনে এবং পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে রানা পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা মাহবুব পাগলপ্রায়। সে শুধু এখন নিজের জীবন নিয়ে বাঁচতে চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews