
ইঞ্জি. হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা এক নারীসহ হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে ঘেরাও ইস্যুতে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউএনও অফিস, থানা ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
৪ এপ্রিল ২১ ইং রোজ শনিবার রাত ৭.১০ সময় হেফাজতের মিছিল থেকে এসব হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,শনিবার রাতে হেফাজতের মিছিল থেকে বড় মহেশখালীতে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসন ও থানা এলাকায় হামলা এবং কালারমার ছড়ার স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা মারধর ও তার বাড়ি ভাংচুর কারা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, রাত ১২টার দিকে একটি বিশাল লাঠি মিছিল বড় মহেশখালী থেকে উপজেলা সদরে আসে, মিছিলটি পৌর শহরের গোরকঘাটা বাজার থেকে সড়কের দুপাশে ভাঙচুর চালিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় যায়। এ সময় মূলফটক বন্ধ পেয়ে সরকারি কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ ছয় রান ফাঁক গুলি ছাড়লে তারা পালিয়ে যায় ৷
তবে হেফাজতের ব্যানারে মূলত জামায়াত- বিএনপির লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই আমাদের পত্রিকা প্রতিনিধি ইঞ্জি. হাফিজকে বলেন, এ সব ঘটনায় শনিবার রাতেই মহেশখালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে । এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারেক রহমান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, যে কোনো উপায়েই এমন জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করবে। এ সব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা খুবই দুঃখজনক, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে দেখছেন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply