
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরের গোত্রশাল সরকারী দিঘী থেকে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গোত্রশাল দিঘি থেকে বালু উত্তোলন করে তিনি তার বাড়ির আশে পাশের একাধিক পুকুর, ডোভা ভরাট করছে । উক্ত পুকুর ও ডোভায় তিনি মাছের চাষ করতেন । এখন দৃষ্টি নন্দন বাড়ির সৌন্দর্য আরও দৃষ্টি নন্দন বৃদ্ধির জন্য এগুলো ভরাট করছেন ।
এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথ, ও বিদ্যুৎ লাইনসহ দিঘীর ভিতরের অংশে এবং চার পাড়ে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর। দীর্ঘদিন থেকে দিঘী থেকে বালু উত্তোলনে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই দিঘীর বুক চিরে ১৮৩৯ সালে ঢাকা-চট্টগ্রামের নির্ভরযোগ্য একমাত্র রেল পথ নির্মিত হয়। ওই রেল পথের পাশ ঘেঁষে দিঘীর পূর্বাংশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে প্রায় বালু তোলা হচ্ছে। এসব বালু দিয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দি কালু ব্যাক্তিগত পুকুর ভরাট করা হচ্ছে । দিঘী থেকে বালু তোলার ফলে চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে দেশের নির্ভরযোগ্য ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথ এবং কুমিল্লা জাঙ্গালিয়া থেকে ৩৩ হাজার কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন ফেনী গ্রীডে সংযুক্ত বিদ্যুৎ লাইনটি। ইতোপূর্বে এ গ্রীড লাইনটি দিঘীতে হেলে পড়লে ওই এলাকায় প্রায় এক মাস বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। এছাড়াও বালু দিয়ে পুকুর ও কৃষি জমি ভরাট করে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হচ্ছে। যা ভুমি আইনে অপরাধ। এতেও কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
এদিকে, দিঘীর ভিতরে এবং চার পাড়ে প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবার অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু দির্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে অভিযোগ করতে পারছি না। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply