এই যেন সৃষ্টিকর্তা লীলা খেলা । পুরো পৃথিবীর বিশ্ব যেন তাকিয়ে আছে কবে এই মহামারী করোনা রোগ হতে মুক্তি পাবে। কবে আসবে স্বাভাবিক জীবনযাপন সেই দিনগুলো। এই মহামারি করোনা যেন এক মৃত্যু মিছিল, না পারছে পাশে স্বজনদের পাশে থাকতে না পারছে লাশের পাশে বসে কান্না করতে দূর থেকে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে নিজের পরিবারে কেউ একজন, নয় তো স্বজন নয়তো অন্য কেও ছেড়ে যাওয়াকে। এইভাবে দুরত্ব থেকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে কবরে কুড়ে মাটি নিচে পুঁতে দেওয়া নিজের কাছের মানুষ নয়তো আপজনের নয় অন্যকেউ ।
এইদিকে বান্দরবানে ৫ম দিনেও মত পালন হচ্ছে সর্বাত্বক লকডাউন। নিস্তব্ধ রাস্তাঘাট,বাজার দোকান,সহ অলিগলিতে। নাই কোন রাস্তা কিংবা দোকানে হাটাচলা ও আড্ডাখানা। বান্দরবান জেলা শহর প্রধান সড়ক সহ বালাঘাটা,কালাঘাটা, বাসষ্ট্যন্ড, ট্রাফিক মোড়,নাই কোন মানুষের আনাগোনা, নাই যানবাহন নাই কোন রিক্সা বা সাইকেল। তার সাথে জেলা মানুষকে সুস্থ রাখতে দিনরাত কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সাথে পুলিশ তৎপরতা চলছে জেলা শহর জুড়ে। বাইরে বের হলে আইনশৃঙ্খলা মুখোমুখি হতে হচ্ছে সবাইকে। এমনকি প্রশ্নে মুখে জেরে পড়েছেন অনেকে।
তবে বান্দরবান মগ বাজার স্থার গুলোতে কাঁচা বাজার বসেছে সীমিত আকারে। মাছ বাজারেও তেমন ক্রেতা দেখা নাই বললে চলে। শুধু দেখা যায় নিজ বাড়ি আঙ্গিনায় বা নিজ এলাকায় ভিতর থাকছেন অনেকে। তবে পাড়া বা মহল্লা ভিতরে সময় কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাঁশ দিয়ে আবার আটকে রেখেছেন গ্রামকে। কিন্তু কিছু কিছু এলাকা বালাঘাটা ও কালাঘাটা দেখা যায় দোকান ভিতর চলছে আড্ডা মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। আবার তোয়াক্কা করছেন নাহ অনেকেই।
এইদিকে সিভিল সার্জিন অংশৈপ্রু জানান, আজ ১৮ এপ্রিল রবিবার সকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে এসে ২য় ডোজ করোনা টীকা গ্রহন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি । তিনি আরো জানান, লকডাউনে বান্দরবানে নমুনা দিতে আসা রোগীও কমেছে। তবে করোনা রোগীর জন্য সদর হাসপাতালে ৩০ টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থেকে ১১২ টি বেডে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। নার্সিং কলেজে ইতিমধ্যে ২৫টি বেড প্রস্তুত ও আরো ৫৫ টি বেডে প্রস্তুতি কাজ চলমান রয়েছে।
বান্দরবান সদর থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, সর্বাত্বক লকডাউন কার্যকরনে জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে। সরকার আইন মোতাবেক আমরা কেউ বের হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অকারণে বের হলে তাকে পূনরায় নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৫২ জন। যা বর্তমান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫ জন। তবে পাশাপাশি করোনা টীকা গ্রহন করেছে ২১ হাজার ৫২২জন। যা এই বছরে করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যু হয়নি।
Leave a Reply