কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের দুই ভাইসহ চার সহযোগী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েক সদস্যও আহত হন। শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুরে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের মনখালীর চেপটখালীর গহীণ পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন। নিহতরা হলো, বশির আহমদ, মো. হামিদ, মো. রফিক ও রইঙ্গা। তারা শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী ছিলেন। তারা সবাই টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাসিন্দা এবং তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নিহতরা ক্যাম্পের ত্রাস ছিল। নিহতদের মধ্যে প্রথম দুজন ডাকাত হাকিমের ভাই। ঘটনাস্থল থেকে অল্পের জন্য পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন ডাকাত হাকিম। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, ডাকাত হাকিম ও তার সহযোগীদের ধরতে জেলা পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার সকালে খবর আসে হাকিম ডাকাত তার দলবল নিয়ে টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তের মনখালী এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র লেনদেন করবে। এরপরই পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি ঠের পেয়ে গুলি ছুড়ে ডাকাত দল। এতে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটে পাহাড়ে ঢুকে পরে। পরে ওই এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত দলের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে নিহতদের নাম বশির, হামিদ, রফিক ও রইঙ্গা বলে জানা গেছে। এদের মাঝে প্রথম দুজন রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাতের হাকিমের ভাই ও বাকি দুজন তার সহযোগী। ঘটনাস্থল থেকে শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিম পালিয়ে গেলেও চারটি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি ও ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত হাকিমকে ধরতে এখনো অভিযান চলছে।