নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter Instagram share
নওগাঁয় ৭মাস আগে খুনের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামী আরিফ আকন্দ (৩০) কে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার নির্দেশনায় গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ গতকাল রোববার রাতে আরিফকে নওগাঁ শহরের পার নওগাঁ (স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশ্বে) তার বাস ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
Surjodoy.com
সোমবার দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এই তথ্য জানান নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম।
পুলিশ সুপার লিখিত বক্তব্যে জানান, গতবছর নভেম্বর মাসের ৫ তারিখে শহরের পার-নওগাঁ বউ বাজার মহল্লায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আরিফ,
The Daily surjodoy
আলমগীর হোসেন ওরফে আলম(৩০)কে ছুরিকাঘাত করলে আহত আলম তার মোবাইল ফোন ফেলে রেখে দৌড় দেয়। পরে ছুরিকাহত আলমকে তাঁর আত্মীয় স্বজন চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
The Daily surjodoy
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রহমানরকিবুল আক্তার, একেএম মামুন চিশতী, সদর সার্কেল আবু সাঈদ, নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার্স ইন চার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল, ডিআইও-১ মোবারক হোসেন প্রমূখ।
The Daily surjodoy
পুলিশ সুপার জানান, খুনের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বাদী প্রকৃত আসামীকে বাদ দিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে অন্যদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু নওগাঁ জেলা পুলিশ সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত খুনের আসামী আরিফকে গ্রেফতার করেছে।
The Daily surjodoy
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯/১১/২০২০ তারিখে মারা যায়। মারা যাওয়ার এই ঘটনায় মৃত আলমের বোন রেশমা বাদী হয়ে ১৮/১১/২০২০ তারিখে পূর্ব শত্রুতার জের উল্লেখ করে জামিরুল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের নাম উল্লেখ করে ও অপরিচিত ৩ জনকে আসামী করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
The Daily surjodoy
মামলা নং-৪২। আলমের ফেলে যাওয়া ফোনের সূত্র ধরে প্রথমে রুবেলকে আটক করে পুলিশ। পরে জাহাঙ্গীর নামে অপর এক ব্যক্তিকেও আটক করে। আটককৃতদের জিঙ্গাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রকৃত আসামী আরিফকে নওগাঁ জেলা পুলিশ গত রোববার তার বাস ভবন থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সপর্দ করে
The Daily surjodoy
এবং আলমের ফেলে আসা মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আরিফ আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিং-এ জানানো হয়।