রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক:
Facebook Twitter Instagram share
ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তা নদীর চরে আবারও বিলুপ্তপ্রায় কাউন চাষে ঝুঁকছেন চরবাসী। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন চরে চলতি মৌসুমে কাউনের ফলন ভালো হওয়ায় সফলতার নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
Surjodoy.com
একসময় মঙ্গাপীড়িত এই অঞ্চলের অভাবী মানুষ ভাতের বিকল্প হিসেবে কাউন খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে কাউনের পিঠা, পায়েস ও মলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী গ্রামের মানুষের পাশাপাশি শহরের মানুষেরও শখের খাবারে পরিণত হয়েছে।
The Daily surjodoy
চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে খরিফ-১ স্থানীয় উন্নত জাতের কাউন চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের মানুষ। উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত বুড়াবুড়ি, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া ও তিস্তা নদীর অববাহিকায় থেতরাই, দলদলিয়া, গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নের শতাধিক চর ও দ্বীপে কাউন চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা।
The Daily surjodoy
সরেজমিনে কয়েকটি চরে গিয়ে দেখা যায়, চরগুলোতে যেন সবুজের সমারোহ। ধু ধু বালু চরগুলো ঘিরে নতুন স্বপ্নে বিভোর চরবাসী। বিস্তীর্ণ চরজুড়ে কাউনের ক্ষেত।
The Daily surjodoy
এ সময় বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বিন্দুর চরের কৃষক সাবেক ইউপি সদস্য বিন্দু বলেন, ‘এ বছর আমি দেড় একর জমিতে কাউন চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় দিন দিন চরাঞ্চলের চাষিরা কাউন চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।
The Daily surjodoy
কৃষকরা এ বছর বাজারে কাউনের কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে আগামীতে হয়তো ব্যাপকভাবে কাউন চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন।’ এ ছাড়া কাউন চাষি মিজানুর রহমান, বাবর আলী, আব্দুস সামাদ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরাও একই তথ্য জানান।
The Daily surjodoy
এবার এ উপজেলায় কাউনের আবাদ দুই হাজার ১৩৭ বিঘা ছাড়িয়ে গেছে।