লঞ্চ চালুর খবরে নদী বন্দরে আনন্দের জোয়ার
FacebookTwitterShare
দীর্ঘ দেড়মাস পর সোমবার থেকে আবারো বরিশাল-ঢাকা নৌরুটসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হচ্ছে। রোববার সরকারি ঘোষণার পরপরই বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করে রাখা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ধোয়ামোছা শুরু হয়। ছুটিতে থাকা কর্মীচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়।
Surjodoy.com
দীর্ঘ ৪৬ দিন পর লঞ্চ চালুর খবরে আনন্দের বন্যা বইছে বরিশাল নদী বন্দরের নৌযান শ্রমিকদের মাঝে। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ মালিক-শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতারা।
The Daily surjodoy
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। পরদিন ৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে গত দেড় মাস ধরে। লঞ্চ চালুর দাবিতে তারা বরিশাল এবং চাঁদপুর নদী বন্দরে বিক্ষোভ করে। লঞ্চ মালিকরাও গত শনিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানান।
The Daily surjodoy
মালিক-শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার এক ঘোষণায় সোমবার থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চালুর ঘোষণা দেয়। এতে আনন্দের জোয়ার বইছে বরিশাল নদী বন্দরের শ্রমিক-মালিকদের মাঝে। সরকারি ঘোষণার পরপরই নদী বন্দরে নোঙর করা রাখা নৌযানগুলো ধোয়ামোছার কাজ শুরু হয়। বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া শ্রমিকদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। লঞ্চ চালু হলে শ্রমিকরা কোনোমতে খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারবে বলে জানান নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশালের সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার।
The Daily surjodoy
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার থেকে নৌযান চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের খবর তিনি শুনেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে লঞ্চ চলাচল করে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
The Daily surjodoy
এদিকে বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, দীর্ঘ দেড় মাস পর লঞ্চ চালুর খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। তবে মালিক-শ্রমিক এবং বিআইডব্লিউটিএ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো শৈথিল্য হলে আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বরিশাল-ঢাকা রুটসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী ৭শ’ নৌযান রয়েছে। এতে কাজ করছে অন্তত ২০ হাজার নৌযান শ্রমিক।