সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো
রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক:
Facebook Twitter share
দুর্যোগ আর দুর্ভোগ দূর করতে তৈরি করা হয় সেতু। আর সেই সেতুই এখন দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিলমারী ও সুন্দরগঞ্জবাসীর। এ সেতুতে উঠতে কাজে লাগাতে হয়েছে বাঁশের সাঁকো। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর- দুর্ভোগ আর ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে চিলমারীর পাত্রখাতা, ব্যাপারীপাড়া, মাদারীপাড়া, কারেন্টবাজার, ডাংগারচর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু গ্রামের মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ। কিন্তু এদিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
Surjodoy.com
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীর পাত্রখাতা বেপারীপাড়া এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণ করা হয় চিলমারী, সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকাবাসীর সুবিধার্থে। ৪০ ফিট এই সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই সেতুটিই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীর।
The Daily surjodoy
এলাকাবাসী জানান, নির্মাণের কিছুদিন পর বন্যার পানির তোড়ে সেতুটির একদিকে দেবে যায়, বন্ধ হয়ে যায় চলাচল। যদিও বন্যার পর সামান্য মাটি দিয়ে দায়সারা কাজ করেন কর্তৃপক্ষ।
The Daily surjodoy
সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় এর কিছুদিন পর ব্রিজের অপরদিক ভেঙে হেলে যায়। আবারো ধসে যায় মাটি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একদিকে মাটি ভরাট অপরদিকে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে মানুষ। আর যানবাহন চলাচল করে সেতুর নিচ দিয়ে। কিন্তু বর্ষা শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে।
The Daily surjodoy
ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তৈরি করা বাঁশের সাঁকোটিও অকেজো হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক বা নতুনভাবে সেতু নির্মাণ করা না হলে হাজারো মানুষের চলাচল বন্ধ বা যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটবে।
The Daily surjodoy
বন্যায় বেশকিছু বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply